রাজশাহী অফিস: আজব ঘটনা হলেও সত্য, সচারচর দেখা যায়না অন্যান্য থানাগুলিতে, চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে দেখা গেল আজব ঘটনা এসআই-এর চেয়ারে বসা থানা পুলিশের সোর্স আলিমকে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় এসআই পলাশের পাশের চেয়ারে বসে মারামারীর একটি ঘটনা মিমাংসা করতে দেখা যায় পুলিশের সোর্স আলিমকে। এ সময় সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে থানা থেকে দ্রুত সটকে পড়ে আলিম।
দুঃখ জনক হলেও সত্য আরএমপি পুলিশ কমিশনারের দিকনির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাব ঠেকাতে পুলিশের কর্মকর্তারা জনসচেতনতা বাড়তে রাস্তায় নেমে দোকানে দোকানে গিয়ে মাস্ক বিতরন করাসহ সতর্ক করছেন জনগণকে। আর এই সময় চন্দ্রিমা থানার দোতলায় অনুমানিক ৩৫/৪০জন জনতার ভিড় জমিয়ে একটি মারমারী ঘটনা নিয়ে আপস-মিমাংসা করছেন এসআই পলাশ ও পুলিশের সোর্স কলোনীর আলিম। তাও আবার থুতনিতে মাস্ক, নাকে নয় !
শিরোইল কলোনীর তিন নম্বর গলির বাসিন্দা এই আলিম। এসআই এর চেয়ারে বসা ভদ্রলোক কে ? এমন প্রশ্ন করতেই থানায় উপস্থিত স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন ব্যঙ্গ করে বললেন উনি আলিম থানার কথিত ওসি।
পরে অবশ্য তারা বিষয়টি পরিস্কার করে বলেন, আলিম থানার একজন সোর্স। থানা পুলিশের সাথে সম্পর্ক রেখে নিজ ভাই মানিককে দিয়ে হেরোইনের কারবার চালাচ্ছে দির্ঘ কয়েক বছর ধরে। তারপরও পুলিশ মানিককে ধরেনা। এছাড়াও আলিম নিজ এলাকায় নানা ধরনের অপকর্মে করে থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা বলেন, চন্দ্রিমা থানার অধিকাংশ পুলিশের যাতায়াত রয়েছে আলিমের বাড়িতে। আলিম অবশ্য অপ্যায়নের ত্রুটি রাখেন না। আর সেই সুবাদে এলাকায় আটকের বিষয়গুলি নিয়ে থানায় তদবিরও করে থাকে আলিম। থানার কোন ঘটনা হলে এলাকার লোকজন পুলিশের কাছে না গিয়ে সরাসরি যায় আলিমের কাছে। আর এতে আলিমের আয় রোজগার ভাল হয় বলেও জানায় স্থানীয়রা। তবে তারা এক বাক্যে বলেন থানার কথিত ওসি আলিম।
এসআই-এর চেয়ারে সোর্স বসার কারন জানতে চাইলে, এসআই পলাশ বলেন, বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। তবে খেয়াল করলে তাকে বসতে দিতাম না।
বাংলার বিবেক ডট কম – ০৪ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply