আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। রাজধানীতে অবস্থান করতেও দেখা যাচ্ছে কৃষকদের। চলছে দফায় দফায় আলোচনা। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
এবার ভারত ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়াল কৃষি বিক্ষোভের আঁচ। ভারতীয় কৃষকদের জন্য চলছে সেই বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
করোনার নিয়ম ভাঙায় গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। মূলত লন্ডনের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরাই এই বিক্ষোভের মূলে। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে মাথায় উঠেছে সোশ্যাল ডিসট্যান্স।
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসকে ঘিরেই এদিন চলছিল বিক্ষোভ। দূতাবাসের তরফ থেকে মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ভারত-বিরোধী কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীই কৃষক বিক্ষোভের অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে ভারত-বিরোধী কাজকে সামনে আনতে চলেছে।
শনিবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের পঞ্চম দফা বৈঠকের পরেও কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। পরবর্তী বৈঠক ৯ই ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, বিক্ষোভে যে মহিলা ও বৃদ্ধ কৃষকরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে আবেদন করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিক্ষোভ শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে। এদিন পঞ্চম দফা বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, কৃষকরা বিক্ষোভ তুলে নিন। কারণ এই শীতে তাঁরা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
দিল্লিবাসীর অসুবিধা হবে, সেকথা মাথায় রেখেও বিক্ষোভ তুলে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। দিল্লির প্রবেশপথগুলিতে বিক্ষোভ চললে বেশ সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা, সেটা বোঝা উচিত কৃষকদের বলে দাবি তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির ওপর কৃষকদের ভরসা রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল বাতিল বা সংশোধন করতে হবে, এই দাবিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে ৮ই ডিসেম্বর সারা ভারত বনধের দিন প্রতিটি টোল প্লাজা ও দেশের প্রতিটি রাস্তা আটকে প্রতিবাদ চলবে। দিল্লিমুখী সব রাস্তা আটকানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বাংলার বিবেক ডট কম – ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
Leave a Reply