ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ২০২১-২২ মৌসুম। এবারও যথারীতি দাপট দেখিয়েছেন বিদেশি ফুটবলাররা। সেরা ১০ গোল স্কোরারের তালিকায় নেই বাংলাদেশিদের কেউ। ২১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে। প্লে মেকিং কিংবা অ্যাসিস্টেও শীর্ষে বিদেশিরা। সর্বোচ্চ ১১টি অ্যাসিস্ট বসুন্ধরা কিংসের রবসন রবিনিওর।
সদ্যসমাপ্ত প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়নশিপ আর রেলিগেশনের হিসেব মিলে গিয়েছিল আগেই। শেষ দিনের দুই ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতায় ছিল কেবল সেরা স্কোরার হওয়ার সমীকরণ। হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করে সেটাই মিলিয়ে নিয়েছেন মোহামেডানের মালি ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে। ২২ ম্যাচে তার গোল ২১টি। এ ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান।
সেরা স্কোরারের তালিকায় দুই নম্বরে চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাঙ্কগড। তিনি করেছেন ২০ গোল। ১৮ গোল নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আবাহনীর ডরিয়েলটন। শীর্ষ পাঁচের চারে জায়গা করে নিয়েছেন রবসন। তার গোল সংখ্যা ১৬। আর রহমতগঞ্জের সানডে আছেন সেরা পাঁচের সবার শেষে।
দেশি ফুটবলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয় গোল করে তালিকার যৌথভাবে ১৫তম স্থানে আছেন নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব বদলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেয়া এলিটা কিংসলে। পাঁচ গোল করে তার পরই আছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। পাঁচটি করে গোল আছে নাবীব নেওয়াজ জীবন, জুয়েল রানা এবং মোহাম্মদ জুয়েলের।
অন ফিল্ডে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান রিক্রুট রবসন রবিনিওর। গোল স্কোরিংয়ে তার সহায়তা ১১টি। আশার কথা হলো এই জায়গায় তাকে টেক্কা দিয়েছেন ইয়াংস্টার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা ১০। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ৪ সহায়তা নিয়ে আছেন তালিকার ১২তম স্থানে।
সদ্য সমাপ্ত লিগে সবচেয়ে সফল গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ৮ ম্যাচে ক্লিন শিট রাখতে পেরেছেন তিনি বসুন্ধরা কিংসকে। দুই নম্বরে থাকা সোহেল রানার ক্লিন শিট কম থাকলেও, গোলও কম হজম করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি পাঁচ লাল কার্ড কনসিড করেছে মোহামেডান। সমান ৪৫টি করে হলুদ কার্ড বসুন্ধরা কিংস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে ১৩২ ম্যাচে হয়েছে ৪৪৭ গোল। ম্যাচ প্রতি স্কোরিং অ্যাভারেজ ৩.৩৯। শেষ ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে বড়সড় লাফ দিয়েছে শেখ রাসেল। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে থেকে লিগ শেষ করেছে ওরা। প্রথমবারের মতো সাইফ লিগ শেষ করেছে তৃতীয় হয়ে।
Leave a Reply