রাজশাহী অফিস: রাজশাহী নগরীতে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ১৬ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে মতিহার থানার মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দ্বীপ্ত কুমারের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধার দিকে মির্জাপুর পূর্ব পাড়া এলাকায় গাঁজা সেবনের দায়ে মো: খায়রুল আলম সবুজ (৩৪) নামের এক যুবককে আটক করে মির্জপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
পরে ছেলে আটকের খবর পেয়ে সবুজের পিতা রেজাইল করিম ফাঁড়িতে যায়।
রেজাউল করিম সংবাদকর্মীর ক্যামেরার সামনে বলেন, ফাঁড়িতে যাওয়ার পর এসআই দ্বীপ্ত ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। না দিলে ২০০ গ্রাম গাঁজার মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে বলে ভয় দেখান তিনি। এ সময় দেনদরবার শেষে ১৬ হাজার টাকায় রফাদফা করেন এসআই দ্বীপ্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সবুজকে আরএমপি ধারায় কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে বলেও জানান রেজাইল করিম।
এ বিষয়ে জানতে মির্জপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দ্বীপ্ত কুমারকে ফোন দিলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, বুধবার ৫জন মিলে মির্জাপুর পূর্বপাড়া এলাকায় গাঁজা সেবন করছিলো। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে সবুজকে আটক করা হয়। তবে তার কাছ থেকে কোনো প্রকার মাদক পাওয়া যায়নি বলেও জানান আইসি।
এদিকে সবুজের পিতা রেজাইল করিমকে ডেকে এনে টাকা লেনদেন হয়মি মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও গ্রহণ করেন আইসি দিপ্ত।
এ বিষয়টিও সাংবাদিকদের জানান সবুজের পিতা রেজাইল করিম।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০
Leave a Reply