তানহা : সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ বেশি। থাইরয়েডের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন মহিলারা। থাইরয়েডে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির কারণে, মহিলাদের ওজন দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এছাড়াও, তাদের পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। রোজ নির্দিষ্ট ওষুধেই ভর করে দিন শুরু করতে হয়।
থাইরয়েডকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। কারণ এটি অন্যান্য অনেক রোগেকে প্রশ্রয় দেয় আপনার অজান্তে। তবে আপনি যদি এর হাত থেকে বাঁচতে চান, একটানা ওষুধ খেতে না চান তাহলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন থাইরয়েডের বাড়বাড়ন্তকে।
কী কী খাবার খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েড?
থাইরয়েড রোগীদের প্রতিদিন এক চা চামচ ফ্ল্যাক্স (Flax) পাউডার খাওয়া উচিত। এটি থাইরয়েড থেকে মুক্তি দেয়।
ধনে জল থাইরয়েড দূর করে। সন্ধ্যাবেলায় তামার পাত্রে ধনে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভাল করে মিশিয়ে ছেকে পান করুন।
থাইরয়েড রোগীরা সকালে খালি পেটে এক চামচ মধুতে ১০ গ্রাম আমলার গুঁড়ো খেতে পারেন। একইসঙ্গে, রাতে খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরেও এক চামচ মধুতে ১০ গ্রাম আমলা গুঁড়ো খান। প্রতিদিন খেলে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ফলাফল পাবেন।
থাইরয়েড রোগীর প্রতিদিন দুধ এবং দই খাওয়া উচিত। এর মধ্যে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং খনিজ রয়েছে, যা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখে।
থাইরয়েড রোগীদের কী কী খাবার খাওয়া উচিত নয়?
থাইরয়েড রোগীদের সয়াবিন খাওয়া উচিত নয়। এতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ে।
তৈলাক্ত, মশলাদার এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
মিষ্টি না খাওয়াই ভালো।
থাইরয়েড রোগীদের ব্রকলি এবং পরিশোধিত খাবার মোটেই খাওয়া উচিত নয়।
সামুদ্রিক খাবার এবং লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৬ জানুয়ারি, ২০২১
Leave a Reply