1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

বেনাপোল কাস্টমে ১৮০ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ১০৬ বার
বেনাপোল কাস্টমে ১৮০ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়
বেনাপোল কাস্টমে ১৮০ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়

অনলাইন ডেস্ক: দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউজে গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮০ কোটি টাকা কম হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষামাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। এসময় ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে আমদানি কম হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন পণ্য।

বেনাপোল কাস্টম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।কাস্টমস ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে ব্যাংক এলসি খুলছে না। এতে ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারছেন না।

বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কাস্টমস ও বন্দরের নানারকম হয়রানি আর অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে গেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের নানা অনিয়মের  কারণে গত ১০ বছর ধরে বেনাপোল কাস্টম হাউজ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সাথে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরের পণ্য আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৯ মেট্রিক টন।

আর ২০২১-২২ অর্থবছরের পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। আমদানি কম হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে। গেল বছরে  (২০২২-২৩) বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা, সেখানে আদায় করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছয় হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, সেখানে আদায় হয়েছিল চার হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
ওই বছর ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মো. শামছুর রহমান বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যে কারণে গেল বছরে আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে রাজস্বও কম আসবে এটাই স্বাভাবিক।

যশোরের আমদানিকারক এজাজ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি করে তা সারা দেশে বিক্রি করে থাকি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যশোরের কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। যে কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারিনি। পণ্য আনতে না পারার কারণে ব্যবসায়ীকভাবে লোকসান হচ্ছে। সামনে কি পরিস্থিতি হবে কে জানে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সরকার এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেবার নিয়ম করেছে। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সাথে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে দূরাবস্থায় রয়েছেন। এখন আমদানিকারকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। একে তো বাণিজ্য ভালো নেই, তার ওপর পণ্য আমদানি করতে না পারলে আমদানির সাথে জড়িতরা আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাবেন।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে এলসি খুলতে পারছেন না। যে কারণে পণ্য আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে আমাদের রাজস্ব আয়ও কমে যায়। তারপরও গত বছরের চেয়ে আমাদের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ। ঈদের ছুটির কারণে জুন মাসের কয়েকদিন বন্ধ ছিল। সে কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম রাজম্ব আদায় হয়েছে। আমাদের এখানে কোনো হয়রানি হয়না বলে তিনি দাবি করেছেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme