আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার বাইডেন সরকারের হাত ধরে ভারত আমেরিকা সম্পর্ক মজবুত করতে উদ্যোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারতের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে জো বাইডেন সরকার। সীমান্তে ক্রমাগত চিনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখানেও ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। করোনা মোকাবিলা, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা ও পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করার মতো একাধিক বিষয়ে কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।

এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন আমেরিকা সবসময় নিজের বন্ধুদের স্বার্থ রক্ষার পক্ষে কাজ করে। বন্ধু রাষ্ট্রের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারত সীমান্তে চিনের খবরদারির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা। ভারত ও আমেরিকা যৌথভাবে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।

এদিন প্রাইস বলেন মার্কিন প্রশাসন হিমালয়ের রাজনীতির উত্থান পতন নজরে রেখেছে। যাতে বিষয়টি না বাড়ে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেই দিকেও নজর রেখেছে আমেরিকা। তিনি বলেন বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করতে পারে বা পরামর্শ দিতে পারে। সেই আলোচনা করার জন্। সব সময়ই তৈরি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগেও একাধিকবার ভারতের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। চিনের পাশাপাশি, পাকিস্তানকে লক্ষ্য করেও বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক। পাক মাটি সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে যাতে ব্যবহার না করা হয়, তার ব্যবস্থা করা হোক ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে। ছাব্বিশ এগারোর মুম্বই হামলা, উরিতে হামলা বা পাঠানকোট হামলার মতো ঘটনা পাক মাটি থেকেই পরিকল্পিত হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনার উল্লেখ করেন প্রাইস। আমেরিকা জানিয়েছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে ভারত আমেরিকা সম্পর্ক। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ক্ষমতার বদল হলেও, তাতে প্রভাব পড়বে না। করোনা পরিস্থিতিতেও যেভাবে দুই দেশ একযোগে কাজ করেছে, তা লক্ষ্যণীয়। ভারতের অন্যতম বিনিয়োগকারী আমেরিকা। ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন চলে, যা সহজে চিড় খাবে না।

বাংলার বিবেক ডট কম – ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১