অনলাইন ডেস্ক : দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারীদের জরুরিভিত্তিতে তথ্য চেয়েছে সরকার। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসকদের এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়। স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডাটাবেজ তৈরি করতে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসান বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে কতজন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন, তা আলাদা আলাদাভাবে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের সব ধরনের তথ্য নিয়ে এ ডাটাবেজ করা হবে। বিকাশ, রকেট ও নগদ নম্বরসহ তথ্য চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে সরকার ভবিষ্যতে যদি কোনো প্রণোদনা দিতে চায়, তাহলে তাৎক্ষণিক এসব সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। ডাটাবেজে সব থাকবে ভবিষ্যতের জন্য।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারীকালে শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সময় লেগে যায়। শুধু তাই নয়, জরুরিভিত্তিতে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হলেও প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে ধরে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। এসব কারণে যদি কখনো শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সংগ্রহ করা এ তথ্য ব্যবহার করতে পারবে মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে তথ্য হালনাগাদ করাও সহজ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন এডুকেশন ইনস্টিটিউশন আইডেন্টিফিকেশন (ইআইআইএন) রয়েছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের হালনাগাদ তথ্য জরুরিভিত্তিতে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বার বার চাওয়া হলেও দেশের জেলাগুলো থেকে হালনাগাদ তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আদেশে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ‘ইআইআইএন’ধারী নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য সংযুক্ত করে নির্ধারিত ছকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এক্সেল এবং পিডিএফ ফাইল করে ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
নির্ধারিত ছকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা-থানার নাম, ইআইআইএন নম্বর, প্রতিষ্ঠানের নাম নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম, তাদের পদবি, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মোবাইল নম্বর, বিকাশ-রকেট-নগদ নম্বর পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ছকে নারী ও পুরুষের সংখ্যাও ছকে আলাদাভাবে পূরণ করতে বলা হয়েছে।
বাংলার বিবেক ডট কম – ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Leave a Reply