ধর্ম ডেস্ক: সুরা ফাজর কোরআনের ৮৯তম সূরা। ফাজর শব্দের অর্থ ভোর। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াত ৩০টি। সুরা ফাজরের শুরুতে আল্লাহ প্রাচীনকালের কয়েকটি অবিশ্বাসী জাতির ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
সুরা ফাজরের ১-১৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন, শপথ ঊষার, শপথ দশ রাতের, শপথ জোড় ও বেজোড়ের, শপথ রাতের, যখন তা বিদায় নেয়। জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য কি এতে শপথ করার উপাদান নেই? তুমি কি দেখনি তোমার রব কেমন আচরণ করেছেন আদ জাতির সাথে? ইরাম গোত্রের সাথে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী? যার সমতুল্য অন্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি। আর সামুদের প্রতি যারা উপত্যকায় পাথর কেটে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছিল? এবং বহু সৈন্য শিবিরের অধিপতি ফেরাউনের প্রতি যারা নগরসমূহে উদ্ধত আচরণ করেছিল আর সেখানে বহু বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। তারপর তোমার প্রতিপালক তাদের ওপর শাস্তির চাবুক হানলেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।
এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই
১. জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাত বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। এ রাতগুলো নামাজ, তিলাওয়াত ও জিকিরে কাটানো উচিত।
২. আল্লাহর ক্ষমতা অসীম। ইতিহাসে বিভিন্ন সময় অনেক অবাধ্য ও জালিম জনগোষ্ঠীকে আল্লাহ তাদের অপরাধের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সাধারণত দুনিয়ায় কাফেরদের ছাড় দেওয়া হলেও কোনো জনগোষ্ঠী জুলুম ও পাপাচারে সীমালঙ্ঘন করলে আল্লাহ দুনিয়াতেই শাস্তি দেন।
৩. আল্লাহর জ্ঞান সর্বব্যাপী। মানুষ সব অবস্থায় আল্লাহর পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক দৃষ্টির সামনেই থাকে। তাই আল্লাহ ক্ষমা না করলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অন্যায়েরও একদিন হিসাব দিতে হবে। অতিমাত্রায় সীমালঙ্ঘন করলে এই দুনিয়াতেও আল্লাহর শাস্তি নেমে আসতে পারে।
Leave a Reply