রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সার্বক্ষণিক দাপিয়ে চলছে শত শত অবৈধ যানবাহন।
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটার এলাকা পুঠিয়া উপজেলার মধ্যে রয়েছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের সাথে বিশেষ সমঝোতা থাকায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে তারা আইনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। যার কারণে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে অবৈধ যানবাহন। ফলে এসব নিয়ন্ত্রণহীন গাড়িগুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
জানা গেছে, প্রতিনিয়ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে চলাচল করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর। এসব যানবাহন উপজেলায় ভাটার ইট ও মাটি বহন করছে মহাসড়কের উপর দিয়ে। সেই সাথে প্রায় তিন শতাধিক লেগুনা, থ্রি-হুইলার, সিএনজিও চলাচল করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। পাশাপাশি যাতায়াত বেড়ে গেছে বালুবাহী নম্বরপ্লেট বিহীন ড্যামট্রাকের সংখ্যা। ওই ড্যামট্রাক, ট্রলি-ট্রাক্টরগুলো অরক্ষিতভাবে মাত্রাতিরিক্ত মাটি ও বালু বহন করায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সয়লাভ হয়ে যায়। ধূলার কারণে চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে রাস্তায় পথচারী ও স্থানীয়রা।
মো. রুবেল হোসেন বলেন, প্রতিদিন মহাসড়কে শতশত অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টর হিউম্যানহলারসহ চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। অথচ হাইওয়ে পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের কিছুই বলছে না। অথচো সাধারন গরিব ভ্যান চালকদের রাস্তায় বের হলেই হাইওয়ে পুলিশ ভ্যানগুলো আটক করছেন।
রাজশাহী জেলা সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান পটল বলেন, গত কয়েক বছরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ ওই অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় হরতাল, অবরোধ ও আন্দোলন করেও এর কোনো সুফল পাইনি। যার কারণে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পাশাপাশি বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে অটোভ্যানচালক বলেন, হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিটি ষ্ট্যান্ড থেকে মাসিক চাঁদা দেয়া হয়। এছাড়া ফিটনেস বিহিন ইট বালু বাহি ট্রাক, ইটভাটার ড্যামট্রাক, ট্রলি-ট্রাক্টর মালিকদের সাথে আলাদা চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে যারা নিয়মিত টাকা দেয় না তাদের গাড়ী আটক করে মামলা হয়।
স্থানীয় ট্রাকচালক আজাহার আলী বলেন, হাইওয়ে পুলিশের লোকজন আমাদের গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা নেয়। আর বহিরাগত মালবাহী গাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে বেলপুকুরের কাছাকাছি ও শিবপুর এলাকায় কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দুই’শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে পবা হাইওয়ে ইনচার্জ (শিবপুরহাট থানা) লুৎফর রহমান অবৈধ গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা প্রতিদিন ১০-১২টা অবৈধ গাড়ির ওপর মামলা দিচ্ছি। অবৈধ গাড়িও আটক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলার বিবেক – ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Leave a Reply