রাজশাহী : ১৩ বছরের কিশোর শ্রাবন। তালাইমারীতে এসেছিলো পুরি পিয়াজু খেতে। কিন্তু পুরি পিয়াজু না পেয়ে পায়ে হেটেঁ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সে।
পথে মতিহার থানাধিন তালাইমারী বিজিবি ক্যাম্পের পাশে দুই পুলিশ কন্সটেবল তাকে আটকায়। প্রশ্ন করে কোথায় গিয়েছিলি। উত্তরে কিশোর বলে তালাইমারী গিয়েছিলাম নাস্তা খেতে। এখন বাড়ি যাচ্ছি।
এরপর আর কোন কথা নাই তুলে মাটিতে আছাড় মারে কিশোরকে। গলা চেপে ধরা হয়। সেই সাথে চড়-থাপ্পর তো ছিলোই। আর তার সাথের কন্সটেবল সুমন তাকে ধমকায়। হতভম্ব কিশোর শ্রাবন। সে জানে না তাকে কেন মারধর করা হলো। শ্রাবনের বাড়ি নগরীর মতিহার থানাধিন কাজলা ফুলতলা এলাকায়। তার বাবার নাম নূর মিয়া দুখু। পেশায় সে একজন বার্নিশ কারিগর।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধিন তালাইমারী বিজিবি ক্যাম্পের পাশের রাস্তায়।
স্থানীয়রা জানায়, বোয়ালিয়া থানাধিন মালোপাড়া ফাঁড়ির কন্সটেবল সুমন ও ইসরাফিল শ্রাবন নামের কিশোরকে মারধর করে। কিন্তু স্থানটি মতিহার থানাধিন বাজে কাজলা। এই ধরনের নির্যাতনে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা। তারা জানায়, সরকারী লোক প্রতিবাদ করলেই সমস্যা। তাই তারা কিশোর শ্রাবনকে শান্তনা দিয়ে বাড়ি পাঠায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালাইমারী পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার গৃহবধূ রুমি জানান, হাদিড় মোড় নদীর ধার এলাকার জিবন ও সবুজ মালোপাড়া ফাঁড়ির কন্সটেবল সুমন ও ইসরাফিলের সোর্স। তারা কাজলা এলাকায় মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে লেনদেনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নেয়।
কিন্তু সোর্স জিবনের নিজ শাশুড়ি পলি। সে ওই এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী। পুলিশ তাকে ধরে না। ধরে সেবনকারীদের। গৃহবধূ আরো জানায়, এর আগেও কাজলা এলাকা থেকে শাহীনের ছেলে তানভীর (১৬) নামের এক যুবককে আটকায়। পরে তাদের দাবি পূরুনে ব্যর্থ হলে এই দুই কন্সটেবল ওই কিশোরকে হেরোইনের মামলা দেয়।
এছাড়াও প্রায়ই মাদকাশক্তদের ধরে টাকা নেয় বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে মালোপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইফতেখায়ের বলেন, বিএনপির সমাবেশে ডিউটি ছিলো। তাই ফাঁড়ির কোন খবর জানা নেই। তবে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply