অনলাইন ডেস্ক : ‘বঙ্গমাতা পদক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পদকটি দেওয়া হবে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে। এই উদ্যোগকে মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে এই পদক চালু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরো অনেক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ফাতিমা তুজ জোহরা।
কালের কণ্ঠ : তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে আপনার মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : তৃণমূলে নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ১০৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে জেলা পর্যায়ে।
কালের কণ্ঠ : নারী উদ্যোক্তাদের জন্য মন্ত্রণালয় কী করছে?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ব্র্যান্ডিং করতে জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা তাঁদের পণ্য বাজারজাত করছেন। ২৮ হাজার নারী উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
কালের কণ্ঠ : নারীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে কি না? এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম কী?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : নারীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করেছে মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে এক কোটি নারীকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা হবে। ৬৪টি জেলায় ৫৪ হাজার নারীকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কালের কণ্ঠ : নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও আর্থিক-সামাজিক ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : মূল কারণ হলো শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা। নারীশিক্ষার হার কম ছিল। এখন বাড়ছে। তবে এখানে শুধু সরকার নয়, সবার ঐক্যবদ্ধ অশংগ্রহণ জরুরি। সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
কালের কণ্ঠ : নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ কী?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : আন্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। ৪৭টি সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল’ ভুক্তভোগীদের সহায়তা করছে। ‘১০৯’ ন্যাশনাল হেল্পলাইনে ২৪ ঘণ্টা অভিযোগ নেওয়া হয়। অসহায়-নির্যাতিত নারীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
কালের কণ্ঠ : নারীদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ কী?
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা : দুই লাখ ৫৬ হাজার নারীর প্রশিক্ষণের জন্য গত মাসে একনেকে প্রকল্প পেশ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ফুড কর্নার, সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার এবং বিউটি পার্লার নির্মাণ করা হবে। সব জেলা-উপজেলায় নারীদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র করা হবে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply