নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে তারা দোকানপাট ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য ও সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসুরহাট পৌর শহরের রূপালি চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে বসুরহাটের রূপালি চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা পৌরসভা ভবন থেকে বের হয়ে ধাওয়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর চালায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো কোম্পানীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ককটেল ও গুলির ঘটনাও ঘটছে। তবে পুলিশ এখন গুলি ছুঁড়েনি। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply