স্টাফ রিপোর্টার: সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে রেলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজশাহীতে এক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের স্টেশন এবং অপারেশন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আদর্শ রেলওয়ে স্টেশন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
রেলমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রেল ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্য দেশে রেল মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক প্রভাব বিস্তার করছে। আমাদের দেশেও রেল কেন্দ্রিক অনেকের জীবন ব্যবস্থা চালু আছে।
তিনি বলেন, যে অঞ্চলের পাশ দিয়ে রেললাইন গিয়েছে সেখানে রেলকে কেন্দ্র করেই সবকিছচু পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যমান রেলওয়ে ট্র্যাকের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে গতি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন সবকিছুই আমরা করব। ইতিমধ্যেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচু করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যে ৫০টি স্টেশনকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরের সাথে রেল সংযোগ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের সাথে কয়েকটি আন্তঃসংযোগ খুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ প্রকল্প, যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পসহ বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে।
রেলওয়ের ইঞ্জিন বিষয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০টি লোকোমোটিভ আসছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ইতিমধ্যে ১০টি বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এভাবেই রেলকে ঢেলে সাজানোর জন্য বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদত আলী, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বক্তব্য দেন।
বাংলার বিবেক /এইচ
Leave a Reply