স্টাফ রিপোর্টার : বাচ্চু ও শেখ। তারা আপন দুই ভাই। তাদের বাবার নাম ভাদু শেখ। বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন বাস্তহারা এলাকায়।
বাচ্চু ও শেখ রাজশাহী নগরীতে একটি চোর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক। মূলত রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ও বাসটার্মিনাল এলাকা ঘিরে তারা চোর সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে ১৫-১৬ জন চোর। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
চোর সিন্ডিকেটের সদস্য রাজ্জাক অরফে শান্ত জানায়, তাদের গ্রুপে অন্তত ১৫-১৬ জন চোর আছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তহারা এলাকার দুই ভাই বাচ্চু ও শেখ।
সিন্ডিকেটের সদস্যরা রেলওয়ে স্টেশন ও বাসটার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের পকেট কাটা, ব্যাগ ধরে টান দেয়া, মোবাইল ছিনতাইসহ নানা কৌশলে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
এমনকি গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে তারা চুরি করে থাকে। চুরি করা মালামাল পরে তারা নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করে। আবার চুরির মালামাল ক্রয় করে বাচ্চু ও শেখ।
শান্ত জানায়, চোরেরা পরিকল্পিতভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাইকেল-মোটরসাইকেল, বাসাবাড়ির টিভি, প্রেসারকুকার, হাড়ি-পাতিল ও পরিধেয় বস্ত্র চুরি করে তারা।
সে আরো জানায়, কিছুদিন আগে নিউমার্কেট এলাকা থেকে একটি বাইসাইকেল চুরি করে ৮ শ‘ টাকায় বিক্রি, স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে এক যাত্রীর পকেট থেকে মোবাইল চুরি করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি, চোরাই ফ্যান তিনশ‘ টাকায় ও দুই হাজার টাকায় একটি টিভি বিক্রি করে তারা।
আর এসব চোরাই জিনিস কিনে নেয় বাচ্চু। এছাড়া চুরি করা সোনার গহনাও কিনে নেয় সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক দুই ভাই।
চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে- নাটোরের হৈয়বতপুর এলাকার শান্ত (২৬), রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার মিন্টু (২৫), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার ইসমাইল (৩৫), রবের মোড় এলাকার জয়নাল (৪৫), আসাম কলোনী এলাকার সবুজ (২০), রাজা (২২), সাগর (২৩), বিপ্লব (২৫), সাগর (২৫), স্কুল মাঠ এলাকার মাসুম অরফে তেল কালু (৪০), পলাশ (৩০), সোহাগ (২০), ছোট বনগ্রাম এলাকার কামাল (৪৫) ও ভাক্কু (৪০) প্রমুখ।
এ বিয়য়ে শিরোইল বাসটার্মিনাল পুলিশ বক্সের এটিএসআই নাসিরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, বিষয়টি জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলার বিবেক/ জি আর
Leave a Reply