বগুড়া : বগুড়ার শেরপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও সুপারভাইজারসহ চারজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে; তারা হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কারফিখাল এলাকার রাজার মিয়ার ছেলে বাসচালক রওশন হাবিব (৩৫) ও সুপারভাইজার মাসুদ মিয়া (২৭)।
আহতরা হলেন- রনি (২০), ফরিদুল ইসলাম (২২), আল আমিন (১৯), ফজলু মিয়া (৫০), আজাদুল ইসলাম (৩০) ও সিরাজুল ইসলাম (৩৫)। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি মহাসড়কের ওপর থাকায় প্রায় দুকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রতন হোসেন জানান, রংপুর ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৫৫২২) শুক্রবার রাত ২টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ এলাকায় মহাসড়কে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বগুড়াগামী দৃষ্টি পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৬১৪৪) চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই দৃষ্টি পরিবহনের চালক হাবিব ও সুপারভাইজার মাসুদ নিহত এবং দুটি বাসের ১১ যাত্রী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বগুড়া সিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, আহতদের ভর্তির পর শনিবার সকালে দুজন মারা যান। বর্তমানে আরও নয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ শেরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বানিউল আলম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply