অনলাইন ডেস্ক : সালিশি বৈঠকে মুন্সীগঞ্জে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান মারা গেছেন।
নিহত মিন্টু সদরের ইসলামপুর এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অপর নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মো. ইমন পাঠান (২০) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সাকিব হোসেন (১৯)।
এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ উত্তর ইসলামপুর এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে রাত ১০টার দিকে উত্তর ইসলামপুর এলাকার জামালের দোকানের সামনে স্থানীয় সৌরভ ও ইমনের লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে। এ সময় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মিমাংসা করে দেন। কিন্তু সৌরভের বাবা জামাল বিচার না মানলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে সৌরভ ও ইমন গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মিন্টু প্রধান, ইমন ও সাকিব ছুরিকাহত হন। ওই ৩ জনের পেটে ও বুকে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত মিন্টু ও সাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত আড়াইটার দিকে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু মারা গেছেন বলে স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সালিশি বৈঠকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৩ জন গুরুতর হয়। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর একজন মারা যান। আরেকজন মারা গেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অপর একজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই উত্তর ইসলামপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply