অনলাইন ডেস্ক : রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করার অভ্যাস অনেকের। আবার যারা কর্মজীবী, তারা দিনের বেলা এমনিতেও সময় পান না। সকালে উঠে আরও অনেক ব্যস্ততার কারণে গোসলের জন্য সময় হয়ে ওঠে না। তাই রাতের বেলা নিরিবিলি গোসল সেরে নেন। রাতে গোসল করলে সমস্যা নেই, তবে ভেজা চুল নিয়েই যদি আপনি ঘুমাতে যান, সমস্যা হবে তখনই।
শুধু রাতেই নয়, দিনেও গোসলের পর ভালোভাবে চুল না শুকিয়েই অনেকে ঘুমিয়ে যান। এর ফলেও হতে পারে সমস্যা। এই অভ্যাসটি সরাসরিভাবে চুল ও মাথার ত্বকের ক্ষতির কারণ। ভেজা চুলে ঘুমানোর ফলে চুল বেশ কয়েকভাবে চুল নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়-
চুলে জট পড়ে
শুকনো চুলের ততটা জট বাঁধে না যতটা ভেজা চুলে বাঁধে। এদিকে ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানোর সময় স্থান পরিবর্তন করার কারণে সহজেই চুলে জট তৈরি হয়।
চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে
চুলে জট যত বেশি, চুল পড়ার ভয়ও ঠিক ততই বেশি থাকে। আর ভেজা চুলে ঘুমানোর ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। এতে সহজেই চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পায়। ঘুম থেকে ওঠার পর ভেজা চুল আঁচড়ানোর সময় জটের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ বেশি চুল পড়ে।
চুলের কোমলতা নষ্ট হয়
ভেজা চুল বেঁধে ঘুমানো সম্ভব নয় বলে চুল ছেড়েই ঘুমাতে হয়। এর ফলে বালিশের কভারের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকদিন এভাবে ভেজা চুলে ঘুমানোর পর খেয়াল করলে দেখা যাবে, চুল তার পূর্বের ও স্বাভাবিক কোমলতা হারিয়ে অনেকটাই রুক্ষ হয়ে গেছে।
ছত্রাক সংক্রমণের ভয়
ভেজা চুলে ঘুমালে চুলে ছত্রাকের সংক্রমণের ভয় থাকে। ভেজা ও আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশ ছত্রাকের আক্রমণের আদর্শ স্থান। ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানোর কারণে মাথার ত্বকে ছত্রাকের জন্ম দেখা দিতে পারে। যা পুরো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে খুশকির সমস্যাও দেখা দেয়।
চুলে দুর্গন্ধ হয়
যারা ভেজা চুলে ঘুমান, তাদের পাশে দাঁড়ালেই এক ধরনের দুর্গন্ধ টের পাবেন। ভেজা চুলে ঘুমালে সেখানে পানি, ঘাম ইত্যাদি জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply