রাজশাহী : শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলে রাখার জন্য রোববার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানিয়ে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। দাবি মানা না হলে আন্দোলনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল।
সে দাবি না মানায় সোমবার সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ ভেঙ্গেই মার্কেট খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে মার্কেট বন্ধ রাখলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনের সড়কে নামেন। প্রথমেই তারা সড়ক অবরোধ করেন। পরে সড়কের ওপরই বিক্ষোভ শুরু করেন। এরই মধ্যে ভেতরে অনেকেই একটি দুইটি করে দোকান খোলা শুরু করেন। পরে বিক্ষোভ শেষে দায়িত্বরত পুলিশের হ্যান্ড মাইক নিয়ে সেখান থেকেই মার্কেট থোলার ঘোষণা দেন। এর পরপরই রাজশাহী মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের দোকানপাট খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে মার্কেটের বাইরের দোকানপাট বন্ধ আছে। জনসাধরেণর চলাচলে লকডাউনের তেমন প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এদিকে, সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আর এসব যানবাহনে কোনো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। আগের মত ঠাসাঠাসি করেই এসব যানবাহনে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল জানান, সোমবার থেকে লকডাউন প্রশ্নে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আওতায় সোমবার থেকে সাত দিন লকডাউনের কারণে রাজশাহীতে কেউ প্রবেশ বা জেলা থেকে বের হতে পারবেন না। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সকাল থেকে মহানগর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। কোথাও আইনি ব্যবস্থার নেওয়ার প্রয়োজন হলে নিচ্ছেন।
এ সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে জনসাধারণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply