অনলাইন ডেস্ক : উজানের ঢল কমায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি। নিচু এলাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এরইমধ্যে নালা নর্দমা পরিষ্কারের জন্য কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
সিলেট নগরী থেকে পানি নামলেও নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন নগরবাসী। বন্যা পরবর্তী রোগ বালাই প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নালা নর্দমা পরিষ্কার করছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আংশিক, জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ২২ হাজার ১৫০টি ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার সড়ক।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেন, বন্যায় সিলেট জোনের বেশিরভাগ রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে গাড়ি চলাচলের জন্য আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এদিকে সুনামগঞ্জের বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। এখনো তলিয়ে আছে নিম্নাঞ্চলে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট। জেলায় তিনশো আশ্রয় কেন্দ্রে গবাদিপশু সহ ৮০ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। রোববার সকালে সদর উপজেলার আদর্শ গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করেছে কোস্টগার্ড।
মৌলভীবাজারের সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও নিম্নাঞ্চলের পানি এখনো নামেনি। বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার বেশিরভাগ বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে আছে।
এদিকে হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ৭ উপজেলার ২০ হাজারের অধিক বানভাসি মানুষ। পানিবন্দি জেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply