1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ: চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে ফেরত

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১
  • ১৩৩ বার

রাজশাহী : বিক্রয় অনুপোযোগী জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী, পাবর্তীপুর, বগুড়া, দিনাজপুরসহ আরো কয়েকটি জেলায় বিক্রয় উপযোগী করে সরবরাহ না করায় চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে এই সার ফেরত পাঠানো হয়।

জানা যায়, রাজশাহীর রেলওয়ে ভবনের পাশে অবস্থিত বাফার গুদাম গত বুধবার জমাটবাঁধা আড়াই’শ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ফিরিয়ে দিয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বাফার গুদামে এই ইউরিয়া সার সরবরাহের জন্য আনা হয়েছিলো। বড়বড় দলা আকৃতির এসব সার ফসলে ব্যবহার অনুপযোগী। তাই পরিবেশক ও বাফার কর্তৃপক্ষ সার আনলোড করতে দেয়নি। পরে সেগুলো রিসাইকেলিং এর জন্য চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এদিন রাজশাহীতে ১৫ ট্রাক ইউরিয়া সার সরবরাহ করে ঢাকার নবাব এন্ড কোং লিমিটেড কোম্পানি। প্রতিটি ট্রাকে সার ছিলো প্রায় ১৭ টন করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের শিরোইল এলাকায় অবস্থিত বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন গুদামে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকগুলো ইতিমধ্যে চলে গেছে।

তবে একটি সূত্র বলছে, সার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান একবার তা পরিবেশকের কাছে পৌঁছে দিলে পরবর্তীতে সার জমাট বাঁধলে তারা আর ফেরত নেন না। এতে পরিবেশকদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় কৃষকের কাছে পৌঁছে যায় এ সার। এতে ওজন কমে যাওয়াসহ জমিতে সার প্রয়োগে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে কৃষক।

রাজশাহীতে সরবরাহ করা জমাটবাঁধা সার বিষয়ে স্থানীয় কমিটির সভাপতি রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কে জে এম আব্দুল আউয়ালকে অবহিত করে পরিবেশক। তারা এই জমাটবাঁধা সার গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে সরবরাহকারী ট্রাকগুলো ফিরে যায়।

রাজশাহী বাফার গুদামের ইনচার্জ সাজেদুর রহমান জানান, সারগুলো জমাটবাঁধা তাই সেসব সার তারা নেননি। কৃষকেরা এসব সার কিনবে না। ফ্রি দিলেও নেবে না। তাই এই ধরনের সার নিয়ে কি করব? এর আগেও নবাব অ্যান্ড কোং লিমিটেড আমাদের গুদামে সার দিয়েছে। তবে এবারের চালানের সার থেকে পানি ঝরছিল। পানিতে ভেজা সার গুদামে নেওয়া অযৌক্তিক।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, বাফার গুদামে আসা ইউরিয়া সার জমাটবাঁধা অনুপযোগী হওয়ায় সেগুলো গুদামে নেয়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ড্রাষ্টিজ করপোরেশনের মার্কেটিং ম্যানেজার মঞ্জুর রেজা জানান, এ সারগুলো ঢাকা থাকা যায় না। আমাদের একটা সরবরাহ টিম ম্যানেজমেন্ট আছে তারা সার সরবরাহ উপযোগী করে সেগুলো পরিবেশকদের সরবরাহ করে। এক্ষেতে সরবরাহ উপযোগী না হলে আমরা সার গ্রহণ করি না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রডাকশন যেটা হয় সেটা চাহিদার এক তৃতীয়াংশ। ২৫ লাখ ডিমান্ড থাকে। আর ৮ লক্ষ আপদকালীন। এই ৩৬ লাখ আমাদের রাখা লাগে। ১০ লক্ষ আমাদের প্রডাকশন হয়। বাকিটা ইমপোর্ট করা লাগে। এটা ইমপোর্ট করতে ৬ মাসের প্রক্রিয়া লাগে। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া।

এদিকে, সারের আপদকালীন মজুদ হিসেবে ৭ থেকে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন সার সবসময় রাখা লাগে। তাদের ধারণ ক্ষমতা আড়াই থেকে তিন লক্ষ মেট্রিক টন। একারণে তারা চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির থেকে সার নিয়ে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই সরবরাহকারী তাদের পাইপলাইনে কিছু সার থাকে। যেগুলো জাম্পিং থাকলে জমাট বেঁধে যায়, পানি ঝরে। তাদের সঙ্গে চুক্তি আছে যদি এভাবে সার জমাট বেঁধে যায় তারা সরবরাহ উপযোগী করে দিবে। এটা আমাদের বিভিন্ন ট্রানজিট ঘাটে থাকে। এটা নরমাল প্রক্রিয়া। এটিকে রিসাইকেলিং করে আবারও ব্যবহার উপযোগী করা হবে। আর রিসাইকেল করলে সারের গুনগত মান কমে না। এটা পরিক্ষিত বলেও জানান তিনি।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme