অনলাইন ডেস্ক : দেশে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা আগামী বুধবার উদযাপন হতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার ঈদে নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় না গিয়ে ঢাকাতেই অবস্থান করবেন বিএনপির বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতা। তবে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নেতারা নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় না যেতে পারলেও এলাকায় ঈদের উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সারা দেশে করোনা চিকিৎসায় জেলা কার্যালয়গুলোকে হেল্থ সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন নেতারা। এছাড়া অনুমতি সাপেক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর কথা রয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা সবাই রাজধানী ঢাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিবার নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ করলেও এবার ঢাকাতেই আছেন। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদ করবেন ঢাকায়।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন বীরউত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও আবদুস সালাম ঢাকায় ঈদ করবেন।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন্নবী খান সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আহমেদ উজ্জ্বল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন শ্যামল, সহ-প্রচার সম্পাদক শামী মুর রহমান শামীম, উপ-অর্থ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবু, ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল ঢাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র মনিরুল হক, রফিকুল ইসলাম বকুল নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

বরিশাল বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

সিলেটের মেয়র আরিফুর হক চৌধুরী ও চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন জীবন এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

রাজশাহী বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।
ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় কারার কথা রয়েছে।

রংপুর বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুদু নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সাহেল প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন।

কুমিল্লা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করবেন। সংসদ সদস্য হারুনর রশীদ, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলামের এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করার কথা রয়েছে।

চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারের ঈদের পর বগুড়া গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে।
কারাগারে আছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর ও ইসহাক সরকার।

বিদেশে আছেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান ডক্টর উসমান ফারুক ও কায়কোবাদ হোসেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এবার ঈদে স্থায়ী কমিটির নেতারা ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের নামাজ শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন নেতারা।

তিনি আরও বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে সিনিয়র নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর কথা রয়েছে। যদিও এখন শিডিউল চূড়ান্ত হয়নি।

বাংলার বিবেক /এম এস