1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

ইসলামী দৃষ্টিকোণ: হতাশা ও এর কুফল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ২৩৭ বার

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ স্বভাবসুলভ আশাবাদী। আগামী দিনের ঝলমলে সূর্য ওঠার অপেক্ষায়রাতের আঁধার হাসিমুখে বরণ করে। কখনো সে প্রচ- আশাবাদী হয়। ধন, সম্মান ও ক্ষমতার নেশা তাকে অস্বাভাবিক করে তোলে। অনেকে নিজের অজান্তে এমনই আশাবাদী হয় যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে সে এতটা হতাশ হয় যে, নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে হতভাগা মনে করে। জয়-পরাজয়, পাওয়া-না পাওয়া, সফলতা-ব্যর্থতা মানুষের জীবনে আসতেই পারে। তাই বলে কি হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করতে হবে! আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আর আত্মহত্যাকে কোনো ধর্মই সমর্থন করে না।

তার মধ্যে চলে আসে হতাশা নামক এক ব্যাধি। আস্তে আস্তে নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। কেমন যেন সে তার পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ। কোনো মুমিনের মধ্যে এ অভ্যাস মোটেই কাম্য নয়। সে সর্বদাই নিজেকে আল্লাহ তা’আলার নিকট সোপর্দ করবে। এটাই তার নীতি-আদর্শ।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
অর্থ : মানুষকে ছোট মনের অধিকারী করে সৃষ্টি করা হয়েছে, বিপদ-মুসিবতে পড়লেই সে ঘাবড়ে যায়, আর যে-ই সচ্ছলতার মুখ অর্থ দেখে অমনি সে কৃপণতা করতে শুরু করে।(সূরা আল-মাআরিজ, আয়াত ১৯, ২০ ও ২১)

হতাশা কী?
হতাশা শব্দটি বিশেষ্য পদ। অর্থ: নৈরাশ্য আশাভঙ্গ, ব্যর্থতা, হিম, তুষার, তুহিন, তুষারপাত, তুষারপাতের কাল, হিমেল প্রভাব, জমাট অবস্থা, জমে যাওয়া অবস্থা, হিমায়িত অবস্থা, হতাশা, তুষারকণা।
আলোচ্য প্রবন্ধে হতাশার কুফল এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্ত থাকার উপায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রখ্যাত আরবি সাহিত্যিক বলেছেন “হতাশার জায়গা না দেওয়ার অধিকার আপনার আছে।”

পরিভাষায় হতাশার অর্থ
হতাশা হলো নিজের আকাক্সক্ষার পরিপূর্ণতা রোধ করার চেষ্টা। এই আকাক্সক্ষা ন্যায়সঙ্গত হোক বা না হোক। এর সঙ্গে একরকম হৃদয়বিদারকতা এবং হতাশাগ্রস্ততা রয়েছে। এটি এমন একটি বেদনাদায়ক অনুভূতি যা কোনো বাধা উপস্থিতির ফলস্বরূপ হয়। যা প্রয়োজনকে সন্তুষ্ট করা বা ব্যক্তির কোনো সমস্যার সমাধান করতে বাধা দেয়।
মনোবিজ্ঞান, হতাশা, রাগ, বিরক্তি এবং হতাশার সঙ্গে সম্পর্কিত বিরোধীদের একটি সাধারণ আবেগীয় প্রতিক্রিয়া। কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা বা লক্ষ্য পূরণের অনুভূত প্রতিরোধ থেকে হতাশার উদ্ভব হয়। যখন কোনো ইচ্ছা বা লক্ষ্যকে অস্বীকার করা বা অবরুদ্ধ করা হয় তখন বাড়তে পারে। তখনই তাকে হতাশা বলা হয়।
মূলত কোনো জিনিস একান্ত পাওয়ার আশা করা এবং ব্যর্থ হয়ে নিজেকে অথর্ব ভেবে সকল কিছু ত্যাগ করার নামই হতাশা।

হতাশা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিকোণ
পৃথিবীর এ জীবনে মানুষের বিপদ আসেই। নানা সময় নানা প্রতিকূলতা ও বিপদ এসে হামলে পড়ে মানুষের ওপর। অর্থ-সম্পদ, সন্তানাদি, সম্মান-মর্যাদা আক্রান্ত হয় সবকিছুই। দুনিয়ার জীবনে এ বিপদের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা বান্দার পরীক্ষা গ্রহণ করেন। আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবেই এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
“নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। (হে পয়গম্বর!) আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।”(সূরা বাকারা : ১৫৫)
এই আয়াতের আলোকে আমরা বলতে পারি যে, বিপদ আসবেই। বিপদের মুহূর্তে কী করতে হবে সেই নির্দেশনাও দেওয়া আছে এ আয়াতে। কিন্তু বিপদ যখন কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা কেটে যাওয়ার মতো কোনো স্বাভাবিক সম্ভাবনা যখন মানুষের সামনে থাকে না। মানুষ তাৎক্ষণিক লাভ ও লোকসান হিসাবে ব্যস্ত থাকে তখন আঘাত হানে হতাশা। হতাশা তাকে আল্লাহর রহমতের কথা ভুলিয়ে দিতে চায়। আল্লাহর কুদরত থেকে তার দৃষ্টিকে সরিয়ে দিতে চায়। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী আপনজনও ভুলে থাকতে চায়। আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহ এবং দয়াকে আড়াল করে দিতে চায়। অথচ পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে- মুমিন কখনোই হতাশ হতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
অর্থ : “তোমরা নিরাশ বা মন ভাঙা হয়ো না, দুঃখিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও।” (সূরা আলে-ইমরান: ১৩৯)
ইবরাহীম আ. যখন বার্ধক্যে উপনীত, আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে একদল ফেরেশতা এসে তখন তাকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুসংবাদ শোনালেন। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম জিজ্ঞেস করলেন- আমাকে তো বার্ধক্য পেয়ে বসেছে, এরপরও তোমরা আমাকে এ সুসংবাদ দিচ্ছ?! আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
তার স্ত্রীও নিকটেই দাঁড়িয়েছিল, সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের জন্মের সুখবর দিলাম এবং ইসহাকের পরের ইয়াকুবেরও। [সূরা হুদ: ৭১]
সে বলল, কি দুর্ভাগ্য আমার! আমি সন্তান প্রসব করব? অথচ আমি বার্ধক্যের শেষপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছি আর আমার স্বামীও বৃদ্ধ, এত ভারী আশ্চর্যের কথা। [সূরা হুদ: ৭২]
তারা বলল, তুমি আল্লাহর হুকুম সম্পর্কে বিস্ময়বোধ করছ? হে গৃহবাসীরা, তোমাদের ওপর আল্লাহর রহমত ও প্রভুত বরকত রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রশংসিত মহিমাময়। [সূরা হুদ: ৭৩]
নাবী ইয়াকুব আলাইহিস সালামের সর্বাধিক প্রিয় সন্তান ছিলেন নাবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম।
কিন্তু তার ভাইয়েরা বাবার এই আদরকে সহজে মেনে নিতে পারেনি, তাই কৌশলে তাকে একদিন বাবার কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে কূপে ফেলে দিল। প্রিয় সন্তানের এ দুরবস্থায় তিনি হতাশ হলেন না।
অর্থ : বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না। [সূরা ইউসুফ: ৮৭]
এছাড়া এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. বর্ণিত হাদীস রাসূল (সা.) তাকে বলেছেন, ‘হাবরু হাযিহিল উম্মাহ’-এই উম্মতের বিদ্বান ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে শিরক করা, আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া আর আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে পড়া। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৯৭০১]

হতাশ হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাকে হতাশ হতে নিষেধ করে বলেন-
অর্থ : বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা যুমার: ৫৩]
বিপদে পড়লে মানুষ যে কীভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এর কিছু বর্ণনা পবিত্র কোরআনেও আছে।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
আমি মানুষকে যখন কোনো নেয়ামত দিই তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও পাশ কাটিয়ে যায়। আর যদি কোনো অনিষ্ট তাকে স্পর্শ করে তাহলে সে সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়ে! (সূরা বনী ইসরাঈল: ৮৩)
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-
অর্থ : আল্লাহ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণ চান তখন দুনিয়াতে তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন, আর যখন কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তার পাপগুলো রেখে দিয়ে কিয়ামতের দিন তার প্রাপ্য পূর্ণ করে দেন। [জামে তিরমিযী, হাদীস ২৩৯৬]
বস্তুত যারা মিথ্যা জেনেছে আমার আয়াতসমূকে এবং আখেরাতের সাক্ষাতকে, তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তেমন বদলাই সে পাবে যেমন আমল করত। [সূরা আরাফ: ১৪৭]
নানা কারণেই মানুষ হতাশায় আক্রান্ত হতে পারে। বিপদে যদি কেউ ধৈর্যধারণ করতে না পারে তখন দেখা যায় সামান্য সংকটেই সে ভেঙে পড়ে। কখনো হতাশাগ্রস্তদের সঙ্গও আরেকজনকে হতাশ করে দেয়। নিজে হতাশ হওয়া এবং অন্যদের হতাশ করা মুমিনের কাজ হতেই পারে না। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণারূপে করে দেব। [সূরা ফুরকান: ২৩]
তাই কেউ যদি হতাশাগ্রস্তদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, তাহলে এই হতাশায় একসময় সেও আক্রান্ত হবেই। কখনো আবার প্রত্যাশার পাহাড়ও মানুষকে হতাশ করে। নিজের জীবন নিয়ে কিংবা জীবনের কোনো দিক নিয়ে যখন কেউ নিজ সামর্থ্যরে বিবেচনা না করে অনেক উঁচু স্বপ্ন দেখতে থাকে, এর পরিণতিতেও সে হতাশাগ্রস্ত হতে পারে। একের পর এক যখন আশাভঙ্গ হতে থাকে, তখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে। আবার এমনও হয় আকস্মিক কোনো বিপদ কাউকে এতটাই ঝাঁকুনি দেয়, যার ফলে সে আর মাথা সোজা করে সামনে এগিয়ে চলার হিম্মত করতে পারে না। পরিণামে কেবলই হতাশা।
“মানুষ কি মনে করে যে, শুধু আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি বলেই আমাদের ছেড়ে দেওয়া হবে এবং তাদের পরীক্ষা করা হবে না?” [আলিফ-লাম-মীম: ১]
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। সে কি মনে করে যে, তার ওপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না?
হতাশা যে কেবল পার্থিব বিষয়াদিকেই আক্রান্ত করে এমন নয়, দ্বীনী ও পরকালীন বিষয়েও মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়। কারও যখন পাপের পরিমাণ বেশি থাকে, সারাদিন যখন কেউ বড় বড় পাপে ডুবে থাকে, যখন নিজেও পাপ করে, অন্যকেও পাপের দিকে ডাকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন-
সত্যি, বড় পুরস্কার তো বড় বিপদের সঙ্গেই রয়েছে। আর আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন তখন অবশ্যই তাদের পরীক্ষায় ফেলেন। তখন যে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্যেই তাঁর সন্তুষ্টি, আর যে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার প্রতি তাঁরও অসন্তুষ্টি।
একই কথা পার্থিব সংকট নিয়েও। এখানকার কোনো সংকটই স্থায়ী নয়। দুনিয়াই যেখানে ক্ষণস্থায়ী, সেখানে এসব সংকট স্থায়ী হবে কীভাবে? আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন- অর্থ : কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে। [সূরা আলাম নাশরাহ: ৫-৬]
অন্ধকার দূর হবে অবশ্যই আলো আসবে এজন্য হতাশ হয়ে কিছু হবে না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
অর্থ : বরং তিনি, যিনি অসহায়ের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং তিনি বিপদাপদ দূর করে দেন আর পৃথিবীতে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করেন। আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো মাবুদ আছে? তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর। [সূরা নামল: ৬২]

হতাশার ব্যাপারে আমাদের করণীয়
যদি হতাশার কারণ পরিবারের ব্যক্তিদের আচরণ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
অর্থ : তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে। [সূরা আসর-৪] নিজেকে একা করে না ফেলে সমাজের লোকদের সঙ্গে মিশতে হবে। মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
“(হে বিশ্বাসীগণ!) নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহকে অজুহাত করো না। যেই শপথের উদ্দেশ্য হলো- সৎকাজ, আত্মসংযম বা খোদাভীতি ও মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ সবকিছু জানেন ও শোনেন।” [সূরা বাকারা:২২৪]
আমি এই সমস্যা অতিক্রম করব। এই রকম একটি মানসিক শক্তি ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে আনতে হবে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ যদি কেউ ধৈর্য ধরতে পারে আল্লাহ তা’আলা তাকে সাহায্য করেন।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে রয়েছেন। [সূরা বাকারা (২) : ১৫৩]
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
হে লোকসকল! তোমরা শত্রুর মুখে পড়ার কামনা করো না। বরং আল্লাহর কাছে আফিয়াত ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। তবে যখন তোমরা শত্রুর মুখোমুখি হয়ে পড়বে তখন সবর করো। [সহীহ বুখারী, হাদীস ২৯৬৫]

উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, মুমিনের জীবনে কোনো হতাশা ও আহাজারী থাকবে না। সে সবর, শোকর ও তাওক্কুল এর মাধ্যমে সকল সদস্যকে সমাধান করবে। তাই হতাশা নয়; মুমিন হবে আশাবাদী। আল্লাহর রহমতের আশায় থাকবে সে। আশাবাদী হয়ে শঙ্কাহীনভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন!

লেখক
প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান
চেয়ারম্যান, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme