1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

মাস্ক মাস্ক করে মশার কথা ভুলে যাচ্ছেন না তো

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৭১ বার

অনলাইন ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের ভয় যেখানে সর্বত্র, সেখানে ঘাতকের মত ঘাপটি মেরে বসে আছে ডেঙ্গু। অনিশ্চিত আতঙ্ক এখন মানুষের মাঝে। হয়তো মাস্ক মাস্ক করে মশার কথা ভুলেই যাচ্ছেন অনেকে। যার ফলে দিনকে দিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু। যেখানে সামান্য পানি জমে থাকে সেখানেই ডেঙ্গুরোগের বাহক এডিস মশার জন্ম হয়। মশা যে শুধু ডেঙ্গুর ভয়ংকর জীবাণু নিয়ে উড়ে তা কিন্তু নয়, জীবনঘাতী আরো বেশ কিছু রোগের জন্য দায়ী এ ছোট্ট মশা। জেন নিন সে রোগগুলো কী কী।

ডেঙ্গুর যত লক্ষণ

এ বিষয়টি সবারই কমবেশি জানা, ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়। এডিস মশা এই ভাইরাসের বাহক। এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে রক্তনালী ভঙ্গুর হয়ে যায়, বিভিন্ন রক্তকোষ কমে যায়, যকৃত ঠিকমত কাজ করে না। ডেঙ্গুজ্বর অনেকসময় লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও হতে পারে। তবে এর বৈশিষ্টপূর্ণ লক্ষণগুলো হচ্ছে উচ্চমাত্রার জ্বরের সাথে শরীর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথা, পিঠে তীব্র ব্যথা, কাশি ও বমি। জ্বর চলে গেলে শরীরে লাল দানা উঠতে পারে, এটা সব সময় নাও হতে পারে। আর যদি ডেঙ্গুজ্বরের রোগীর শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয় তখন হাত, পা ঠাণ্ডা হতে পারে, নাড়ি দুর্বল হয়ে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আরো খারাপ অবস্থায় রোগী ‘শকে’ চলে যেতে পারে। ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য জ্বর, ব্যথা কমানো আর শরীরের পানি ও লবণের মাত্রা ঠিক রাখা।

ভয়ংকর চিকনগুনিয়া

চিকনগুনিয়া ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। ডেঙ্গুর সাথে এর বেশ মিল আছে। তবে এই রোগে শরীর ও গিঁটে ব্যথা বেশি তীব্র হয়, অনেক সময় গিঁটের নড়াচড়া কঠিন হয়ে যায়। প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, বমি ভাব বা বমি, মাংসপেশিতে ব্যথাও এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। ডেঙ্গুর তুলনায় এখানে শরীরে লাল দানা কম হয়। চিকনগুনিয়া রোগীদের অনেক সময় ডায়রিয়া, শরীর ধনুকের মত বেঁকে যাওয়া, পেটে ব্যাথা, মুখে ঘা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণও দেখা দেয়।

ম্যালেরিয়া থেকে সাবধান

মহিলা এনোফিলিস মশা যদি প্লাজমোডিয়াম নামের পরজীবী দিয়ে আক্রান্ত হয়, আর সেই পরজীবী কামড়ের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে, তবেই ম্যালেরিয়া হয়। এই জীবাণু যকৃততে সংখ্যা বৃদ্ধি করে, আর পরবর্তীতে লোহিত কণিকায় ঢুকে তা ভেঙে ফেলে। উচ্চমাত্রার জ্বর সাথে শরীর ব্যথা, পেটে ব্যথা হতে পারে। রক্ত কমে যায়, যকৃত, প্লীহা ফুলে যেতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে জন্ডিস, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, এমনকি অজ্ঞানও হতে পারে।

গোদরোগ

এর আরেক নাম ফাইলেরিয়াসিস। এটি কয়েক ধরণের কৃমি জাতীয় জীবাণু দিয়ে হয়। মশা এবং কিছু মাছির কামড় দিয়ে এই রোগ ছড়ায়। এটি শরীরের লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত করে। অনেক সময় পা, হাত ফুলে মোটা হয়ে যায়। এছাড়া কান, চোখ, অন্ডকোষ, চামড়াতলেও এই কৃমি ক্ষতি করে থাকে।

আতঙ্কের নাম জিকা

দুনিয়াজুড়েই এখন আতঙ্কের নাম জিকা। এই ভাইরাসের কারণে মারাত্মক জটিলতা হয় গর্ভস্থ শিশুর। এরা ছোট মাথা নিয়ে জন্মায়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের রোগটিকে বলা হচ্ছে ‘মাইক্রোসেফ্যালি’। রোগটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা অরণ্যে এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। তাই এই ভাইরাসের নাম জিকা ভাইরাস। তবে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও জ্যামাইকায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে হয়। পানিজাতীয় খাবার খেতে হয়। রোগ প্রতিরোধে মশা নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পীতজ্বর

পীতজ্বর ভাইরাসজনিত অসুখ। এটি ইয়েলো ফিভার ভাইরাস নামে পরিচিত। এতে তীব্র জ্বর হয়। সময় মতো যথাযথ চিকিৎসা না হলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। পীতজ্বর শুধু মানুষের নয়, বানরদেরও হয়। এ রোগের লক্ষণ হলো জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা, বিশেষ করে পিঠ ও মাথা ব্যথা। লক্ষণগুলো সাধারণত পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো উন্নতি হওয়ার একদিনের মধ্যে পুনরায় জ্বর হতে পারে, পেটব্যথা শুরু হয় ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে ও শরীর হলুদ হয়ে যায়। এজন্য এই রোগের নাম পীতজ্বর রাখা হয়েছে।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme