স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীতে সেই সাইকেলসহ চোরকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ বোয়ালিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। সাইকেল চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয় শামসুল ইসলাম (৩১) নামের এক চোর।
ঘটনাস্থলে ডিউটিরত সার্জেন্ট বিপুল বোয়ালিয়া থানায় খরব দেন। এসময় এসআই রউফ থানার গাড়ি নিয়ে হাজির হন।
চোর শামসুল ইসলামসহ বাই্ সাইকেল উদ্ধার করে নিয়ে যান থানার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তিনি থানায় না নিয়ে রাস্তার পথিমধ্যেই ছেড়েদেন চোরকে!
শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ভদ্রমোড়ের অতিথি হোটেলের সামনে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এদিকে সার্জেন্ট বিপুল জানান, চোরকে আমি আটকের পর এসআই রউফ এর কাছে হস্থান্তর করেছি। যদিও তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা না। যদি ছেড়ে দেয় তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজন। তিনি আরো বলেন, আমার দ্বায়ীত্ব আমি পালন করেছি। এরপর থানার দ্বায়ীত্ব।
এ ব্যাপারে এসআইর রউফ বলেন, ভাই আমি নতুন, সবেমাত্র ৪ মাস পূর্বে থানায় জয়েন্ট করেছি। এছাড়া বাদির কোনো অভিযোগ না থাকায় চোরকে আমি পথেই ছেড়ে দিয়েছি।
ঘটনা সুত্রঃ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোয়ালিয়া থানাধীন ভদ্রামোড় থেকে চোর শামসুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া বাই সাইকেলটি। চোর শামসুল চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনী এলাকার মৃত কবির হোসেনের ছেলে।
সাইকেলের মালিক শরিফুল ইসলাম (১৭) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী, পবা থানাধীন নওহাটা মদনহাতি গ্রামের নূর আলমের ছেলে।
ভদ্রামোড়ে অতিথি হোটেলে নাস্তা আনতে গিয়েছিলেন শরিফুল। দূর্ভাগ্যক্রমে শামসুল তার বাই সাইকেলটি নিয়ে পালানোর মসয় একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার সাথে দূর্ঘটনা ঘটায়।
পরে শরিফুল হোটেলের বাইরে এসে দেখেন তার সাইকেল নাই। দৃষ্টি যায় সড়কে দূর্ঘটনা স্থলে। এগিয়ে এসে দেখেন তারই সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় অটোর সাথে দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে চোর শামসুল।
পরে ভদ্রামোড়ে ডিউটিরত সার্জেন্ট বিপুল ঘটনাস্থলে আসেন এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায়, চোর শামসুলকে আটক করে থানায় খবর দেন।
আরাএমপি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই, তবে খোজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
বাংলার বিবেক / এফ কে
Leave a Reply