1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

গ্রেফতার হতে পারেন কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১২১ বার
কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী

রাজশাহী প্রতিনিধি : যে কোনো মুহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মো. আব্বাস আলী। রাজশাহী সহ দেশজুড়ে মেয়র আব্বাসকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। এরপর থেকেই মেয়র আব্বাস রয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালে।
রাসিক কাউন্সিলর মোমিনের করা মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

এবিষয়ে কথা হয় রাজশাহী মহানগর পুলিশের নগর মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুসের সাথে। তিনি বলেন,‘বিষয়টি অমাদের পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।’

এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ। তিনি বলেন, ‘মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত চলছে। অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাইয়ে একজন এক্সপাটিজের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া গতকাল (২৬ নভেম্বর) মেয়র আব্বাস নিজেই লাইভে এসে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণিত করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি দোষী।’

তিনি বলেন, তার গ্রেফতারের জন্য দুটো আলামতই যথেষ্ট। একটা হচ্ছে- অডিও ক্লিপ ও দ্বিতীয়টি তার ফেসবুকে এসে মাফ চাওয়া। এই দুটো জিনিসই যথেষ্ট। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান খোজার জন্য আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নিচ্ছি। আশা করছি যে কোনো মূহুর্তে মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।’

মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি পত্রের প্রয়োজন আছে কিনা, জানতে চাইলে ওসি নিবারণ বলেন, ‘যদি সন্ত্রাস দমন আইনের মামলা হইতো তবে স্থানীয় সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতার করতে হতো। কিন্তু তার অপরাধ যেটি, সেটি হচ্ছে সিআরপিসি জাতীয় মামলা।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় ‘সেনশন অর্ডার বা পূর্বানুমতির’ প্রয়োজন নেই। তারপরও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে সেটির বাধ্যবাধকতা নেই, শুধুমাত্র জানিয়ে রাখা আর কি।’

মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্রের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলরদের প্রদান করা অনাস্থা পত্র ও পৌর রেজুলেশনের কাগজাদি আমি গ্রহণ করেছি। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর তার একটি প্রতিবেদন ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিন পূর্বে আমার কাছে মেয়র আব্বাসের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার কাগজটিও হাতে এসেছে। সেটির একটি পজিটিভ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। এখন মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা আশার পর সে অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি পজিটিভ রেজাল্ট আসবে।’

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন। তবে এনিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসার অপেক্ষা রয়েছে মাত্র। তবে শিউর তিনি এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রেফতার হবেন।’

এছাড়াও মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতারের বিষয়ে রাজশাহী জেলা আ.লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারের সাথে। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার তো সে হবেই এবং তার অবস্থা গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের মতোই হবে। সে কোন ছাড় পাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জেলা আ.লীগের পক্ষ থেকেও তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। শহীদ কামারুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাহেবকে সে অশালীন মন্তব্য করেছে। শুধু তাই নয়, সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তাই তার ক্ষমা নেই। তার অন্যায় ও দুর্নীতির প্রমাণসহ আমরা একটি ফৌজদারি মামলা করতে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।’

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়র আব্বাসের জেলা সদস্য পদ আজীবনের জন্য বাতিলের সুপারিশ করে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। আজ সকালে সেই চিঠি ডাকযোগে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন নেতারা।

বাংলার বিবেক/  জি আর

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme