অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠিতে চলন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কোস্টগার্ড ছয়জন ও ফায়ারসার্ভিস সদস্যরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ জনে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘লঞ্চের আগুন থেকে বাঁচতে তারা নদীতে লাফ দিয়েছিলেন। বাকি ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।’
প্রশান্ত কুমার দে আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের একটি ও কোস্ট গার্ডের দুটো দল নদীতে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন।’
সকালে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদীতীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। এই ভিড় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply