1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

হাসপাতাল মর্গে বেছে বেছে লাশ ধর্ষণ করত মুন্না

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৫৯ বার
লাশ ধর্ষণ
হাসপাতাল মর্গে বেছে বেছে লাশ ধর্ষণ করত মুন্না

অনলাইন ডেস্ক : হাসপাতাল মর্গে বেছে বেছে লাশ ধর্ষণ করত মুন্না নামের এক ডোম। হত্যা, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, অপমৃত্যু হওয়া কিশোরী-তরুণীদের ময়নাতদন্তের পর সেসব আলামতের ডিএনএ প্রোফাইলিং করে থাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সেই কাজটি করতে গিয়েই সম্প্রতি চমকে যান সিআইডি কর্মকর্তারা। রহস্য উদঘাটনে উন্মুক্ত হয় লাশকাটা ঘরে নারীদের লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া এক ডোমের চেহারা। সিআইডি জানায়, ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, কাফরুলসহ কিছু এলাকায় অপমৃত্যু হওয়া কিশোরী ও তরুণীদের মরদেহে একজন পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রতিটি লাশই ছিল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয় সিআইডি কর্মকর্তাদের। প্রথমে তারা সিরিয়াল কিলিংয়ের বিষয়টি সন্দেহ করলেও গভীর তদন্তে দেখা যায়, যারা আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা ছাড়া মারা গেছেন সেসব মেয়ের শরীরে শুধু নাম না জানা ওই একই ব্যক্তির বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। এরপরই সেই পুরুষের সন্ধানে মাঠে নামেন সিআইডি কর্মকর্তারা।

অনুসন্ধানে তারা জানতে পারেন, অন্তত ৫-৬ জন কিশোরী ও তরুণীর লাশের সঙ্গে মর্গেই বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে। আর এ বর্বরতায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার করা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সহকারী ডোম মুন্না ভক্তকে। গত চার বছর ধরে এই মর্গে ডোমের কাজ করে মুন্না। কোনো বাসস্থান না থাকায় সে দিন-রাত সব সময়ই মর্গেই থাকত। এমনকি মর্গের ভিতরে লাশের সঙ্গে ছবি তুলেও ফেসবুকে আপলোড দিত মুন্না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ৫-৬টি নারীর মরদেহে এক ব্যক্তির বীর্যের উপস্থিতি পাওয়ার পর তদন্তের শুরুতে আমরা সিরিয়াল কিলিংয়ের বিষয়টি মাথায় এনেছিলাম। তবে সুরতহাল বা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেসব মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এরপর আমাদের সন্দেহ হয় যে মর্গেই এই মৃত নারীদের ধর্ষণ করা হতে পারে। সে অনুযায়ীই আমরা তদন্ত শুরু করি।

তিনি বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে ওই হাসপাতালের ডোমদের গতিবিধি পর্যালোচনা করতে শুরু করি। সেখান থেকে জানা যায়, চিহ্নিত ৫ জন নারীর প্রত্যেকের লাশ পাহারা দেওয়ার জন্য রাতে একজন ডোম মর্গে ছিল। এরপর তথ্য-প্রমাণের সাপেক্ষে আমরা নিশ্চিত হই মুন্না নামের ওই সহকারী ডোমই এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তবে এর মধ্যেই সেই ডোম বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গা-ঢাকা দেয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে বেছে বেছে কয়েকজনকে ধর্ষণ করত মুন্না। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার জঘন্যতম অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বরত প্রধান ডোম ও মুন্নার মামা যতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত ৩-৪ বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তার বাবার নাম দুলাল ভক্ত, বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে।

তিনি আরও বলেন, মুন্না রাতে আরও দুই-তিনজনের সঙ্গে মর্গের পাশেই একটি কক্ষে থাকত। সে মাঝে-মধ্যে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশা করত। কিন্তু সে এমন জঘন্য কাজ করবে সেটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে বুধবার থেকে হঠাৎ করেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় আমরা পরদিন জিডিও করেছিলাম। ওই রাতেই নাকি পুলিশ মুন্নাকে গ্রেফতার করে।

বাংলার বিবেক ডট কম২১ নভেম্বর, ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme