অনলাইন ডেস্ক : ১১ বছরে চার বিয়ে করেছেন মো. শফিকুল ইসলাম (৩২)। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্ত্রীদের ওপর যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সবশেষ ২০২০ সালে চতুর্থ বিয়ে করেন শফিকুল। এরপর যৌতুকের বিষয়ে কাটাকাটির একপর্যায়ে সাতক্ষীরার রোজিনা বেগমকে (৩৩) গলাটিপে হত্যা করেন তিনি।
গত ১৫ মে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার চরদাহ এলাকার ছবিলার রহমানের ভাড়া করা বাসার তালাবদ্ধ ঘরে রোজিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে শফিকুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
এরপর রোববার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবর শাহ থানা থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বরাত দিয়েই সোমবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার শফিকুলের বরাত দিয়ে মুক্ত ধর জানান, এ পর্যন্ত তিনি ৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। প্রথম বিয়ে ২০০৯ সালে নিজ এলাকায় কোহিনুর খাতুনকে (১৮)। এ সংসার মাত্র ২ মাস স্থায়ী হয়। দ্বিতীয় বিয়ে ২০১১ সালে। এ সংসারের স্থায়িত্ব ছিল ১ বছর ২ মাস। তাদের জান্নাতি (৯) নামে একটি সন্তান রয়েছে। তৃতীয় বিয়ে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক এলাকায়। তাদের খাদিজা আক্তার সুমাইয়া (৭) নামে একটি সন্তান রয়েছে। এ সংসার থাকতেই ২০২০ সালে চতুর্থ বিয়ে করেন সাতক্ষীরায়।
মুক্তা ধর বলেন, প্রায় ১ বছর ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে সে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। ১৪ মে বিকেলে রোজিনাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করার সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে স্বামী শফিকুলের দাবিকৃত যৌতুকের এক লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।
কিন্তু ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে শফিকুল ইসলাম ও রোজিনা বেগমের মধ্যে এ ঘটনার বিষয়ে পুনরায় কথা কাটাকাটি হলে রোজিনা বেগমকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply