1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

র‌্যাব-পুলিশ সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ; গুলিবর্ষণ, গ্রেফতার ৩২

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ১৩৭ বার

অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীতে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে বিহারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার আদমজী জামে মসজিদের ভেতর পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলার ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে বিহারী ক্যাম্পের ভেতর অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৭ টার সময় বিহারী ক্যাম্পের কয়েকশত নারী-পুরুষ গ্রেফতার আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। থানা কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেয় বিহারীরা এবং আদমজী ইপিজেডের তিনটি প্রবেশ পথে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে তারা। এতে চিটাগাংরোড-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা।

এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় রণক্ষেত্রে পরিনত হয় আদমজী এলাকা। সংঘর্ষ চলাকালে আদমজী এলাকার চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শতাধিক সটগানের গুলি ও অর্ধশতাধিক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। থেমে থেমে চলা সংঘর্ষ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে চলে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এসময় গুলিতে আহত হয় প্রায় ২০ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার আদমজী জামে মসজিদের ভেতর পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলার ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে বিহারী ক্যাম্পের ভেতর অভিযান চালায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। অভিযানে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ছাড়িয়ে নিতে সকালে বিহারী ক্যাম্পের কয়েকশত নারী-পুরুষ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এবং অনেক নারী-পুরুষকে লাঞ্ছিত এবং ঘরের দরজা জানালা ভাংচুরের অভিযোগ আনে বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা থানা কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে তাদেরকে লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্র-ভঙ্গ করে দেয়।

অপরদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, এখানে গ্রেফতার আসামিদেরকে নিয়ে পুলিশের সাথে বিহারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমন একটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা না করে স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে মিছিল বের করেছেন। তারা এ ঘটনার মিমাংসার চেষ্টা না করে এখানেও তারা নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মিছিল করেন এবং তাদের অবস্থানের জানান দেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান স্থানীয় ওয়ার্ডবাসী।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অভিযানে যদি কোন নিরপরাধ মানুষ আটক হয়ে থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তখন সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে বলে জানান। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায় তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিহারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতেই বিহারীরা থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আমরা তাদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় খুদবার আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সৈয়দ আজিজুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মাদক ব্যবসায়ি, কিশোরগ্যাং, ইভটিজিং বিষয়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এর প্রতিবাদ হচ্ছে। ভারতের বিষয় ভারতে থাক। ভারতের বিষয়ে এখানে আমরা না আনি। আমরা এর শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ করবো কিন্তু যেন বিশৃংখলা না হয়।

তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার উপর দফায় দফায় হামলা করে তাকে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২০/১২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশের দাবি, হামলার সময় মুসুল্লি বেশে একটি মাদক ব্যবসায়ি গ্রুপ ও তাদের সহযোগিরা হামলার নেতৃত্ব দেয়।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme