1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

পদ্মা সেতু: ১১৬৮ দিনের লড়াকু এক অভিযাত্রা!

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২
  • ১৩০ বার

অনলাইন ডেস্ক : পানি প্রবাহের বিবেচনায় বিশ্বে আমাজন নদীর পরই পদ্মা নদীর অবস্থান। এমন খরস্রোতা নদীতে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেটা বাঙালি জাতির গর্ব ও অহংকার। আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন) সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণে ৭ বছর ৬ মাস ২৬ দিন লেগেছে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জায়ামাত জোট। ধীরে ধীরে গতিহীন হয়ে পড়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পটি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই ফেব্রুয়ারি মাসে পদ্মা সেতুর জন্য ডিজাইন কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়। কনসালট্যান্ট সেপ্টেম্বর ২০১০-এ প্রাথমিক ডিজাইন সম্পন্ন করে এবং সেতু বিভাগ প্রিকোয়ালিফিকেশন দরপত্র আহ্বান করে। ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে সরকার। কিন্তু কথিত দুর্নীতির অভিযোগে অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে যায় বিশ্বব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের আবেদন বিশ্বব্যাংক থেকে ফিরিয়ে নেয় সরকার। যদিও পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগ কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

নানা অভিযোগ ষড়যন্ত্র চাপ উপেক্ষা করে ২০১২-এর ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু হবে। ২০১২ সালের ৪ জুলাই সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ জুলাই আবারও সংসদে দাঁড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ জাতির সামনে বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান। আর শেষ স্প্যান বসে ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে। এতে দৃশ্যমান হয় পুরো পদ্মা সেতু।

পুরো সেতু দৃশ্যমান হতে বছরের হিসাবে সময় লেগেছিল ৩ বছর ২ মাস ১০ দিন। মাস হিসেবে ৩৮, সপ্তাহ হিসেবে ১৬৬, দিন হিসেবে ১ হাজার ১৬৮ দিন, ঘণ্টা হিসেবে ২৮ হাজার, মিনিট হিসেবে ১ কোটি ৬৮ লাখ ১ হাজার ৯২০ মিনিট। এ যেন ১১৬৮ দিনের লড়াকু অভিযাত্রা!

প্রথমদিকে স্প্যান স্থাপনের গতি কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর বসে ৪১তম স্প্যান। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। এক নজরে দেখে নেয়া যাক প্রথম স্প্যান থেকে শেষ স্প্যান বসানোর আদ্যোপান্ত-

প্রথম স্প্যান: ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ‘৭ এ’ স্প্যানটি। এটি বসানো হয় সেতুর জাজিরা প্রান্তে।

দ্বিতীয়: ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর বসে ‘৭ বি’ স্প্যানটি। এতে ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

তৃতীয়: ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ‘৭ সি’ নম্বর স্প্যানটি বসে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর। এতে সেতুর দৃশ্যমান হয় ৪৫০ মিটার।

চতুর্থ: ২০১৮ সালের ১৩ মে ‘৭ ই’ স্প্যানটি বসে আগেরটির পাশের ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর। দৃশ্যমান হয় ৬০০ মিটার।

পঞ্চম: ‘৭ এফ’ স্প্যানটি বসে ২০১৮ সালের ২৯ জুন। এটাতে ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়। দৃশ্যমান হয় পৌনে এক কি.মি (৭৫০ মিটার)।

ষষ্ঠ: ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ‘৬ এফ’ স্প্যানটি বসানো হয়। ফলে সেতুর মূল কাঠামোর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। জাজিরা প্রান্তের দিকে ষষ্ঠ শেষ স্প্যান বসে।

আরও পড়ুন: ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা (ভিডিও)

সপ্তম: পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যানটি বসে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ‘৬-ই’ বসানোর মাধ্যমে এই প্রান্তে দৃশ্যমান হয় সেতুর ১০৫০ মিটার।

অষ্টম: ২০১৯ সালের ২২ মার্চ পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর অষ্টম স্প্যানটি বসানো হয়। ‘৬ ডি’ স্প্যান বসানোয় ১২০০ মিটারের সেতু দৃশ্যমান হয়।

নবম: পদ্মা সেতুর নবম স্প্যানটি বসে মাওয়া প্রান্তে। এটি ছিল মাওয়া প্রান্তের প্রথম স্প্যান। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল ‘৩ এ’ স্প্যান ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানোয় সেতুর ১৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে রূপ নেয়।

দশম: ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর ১০তম স্প্যান বসে। ‘৩ বি’ স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর দেড় কিলোমিটার (১৫০০ মিটার) দৃশ্যমান হয়।

১১তম: এটি মাওয়া প্রান্তের দ্বিতীয় স্প্যান। ২০১৯ সালের ২৫ মে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ‘৩বি‘ বসানো হয়। এতে সেতুর ১৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১২তম: ২০১৯ সালের ২৯ জুন পদ্মায় বসে দ্বাদশ স্প্যান। ‘৩সি’ স্প্যানটি বসানো হয় ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর। এতে সেতুর ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৩তম : ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারের ওপর ‘৪এফ’ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৪তম: ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর ১৪তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ২১০০ মিটার (২ দশমিক ১ কিলোমিটার) অংশ দৃশ্যমান হয়।

১৫তম: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ‘৩ডি’ বসানো হয়। এ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২২৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৬তম: ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর পদ্মায় বসানো হয় ১৬তম স্প্যান। ৪ডি স্প্যানটি বসে জাজিরা প্রান্তের ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের ওপর। এতে ২৪০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৭তম: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বসানো হয় পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান। মাওয়া প্রান্তে ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের ওপর ৩-ই স্প্যানটি বসানো হয়। এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ হাজার ৫৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
১৮তম: ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হয়। আর এতে করে দৃশ্যমান হয় সেতুর দুই হাজার ৭০০ মিটার। ‘৪সি‘ স্প্যানটি বসে সেতুর ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের ওপর।

১৯তম: ২০১৯ সালের শেষ দিনে ৩১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১৯তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপর ‘৩ এফ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২০তম: ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ২০তম স্প্যান বসানো হয়। ১এফ স্প্যানটি বসানো হয় সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর পিলারেরর ওপর। এর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। ১এফ স্প্যানটি ছিল সেতুর সর্ব প্রথম তৈরি করা স্প্যান। কিন্তু নির্ধারিত পিলার দুটি প্রস্তুত না থাকায় এটাকে আগে বসানো যায়নি। যার কারণে এক বছর তিন মাস আগে ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর এ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছিল।
২১তম: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সেতুর ২১তম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এতে ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর ৬বি স্প্যানটি বসানো হয়।

২২তম: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান। সেতুর ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে ‘১ই’ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর তিন হাজার ৩০০ মিটার।

২৩তম: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ জাজিরা প্রান্তে বসে পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান। ৬-এ স্প্যানটি সেতুর ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এতে তিন হাজার ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৪তম: ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ২৪তম স্প্যান বসানো হয়। ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ‘৬এ‘ স্প্যানটি। ফলে ৩ হাজার ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। অবশ্য এই স্প্যানটি রেলওয়ে এবং রোডওয়ে স্লাব বসানোর সুবিধার্থে এর আগে ২০১৯ সালের ৬ মে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছিল।

২৫তম: ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে বসে পদ্মা সেতুর ২৫তম স্প্যান। ৫-ই স্প্যানটি ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এটি বসানোর পর সেতুর তিন হাজার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৬তম: ২০২০ সালের ১০ মার্চ পদ্মা সেতুতে ২৬তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে ৫-ডি আইডি নম্বরের স্প্যানটি বসানো হয়। ফলে সেতুর ৩৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৭তম: ২০২০ সালের ২৮ মার্চ পদ্মা সেতুতে বসানো হয় ২৭তম স্প্যান। জাজিরা প্রান্তের ২৭ ও ২৮ নম্বর খুঁটির ওপর ৫-সি আইডির স্প্যানটি বসানো হয়। যার মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৮তম: ১১ এপ্রিল ২০২০ সালে সেতুতে বসানো হয় ২৮তম স্প্যান। সেতুর প্রায় মাঝামাঝি অংশে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ৪-বি স্প্যানটি বসানো হয়। যার মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৯তম: ২০২০ সালের ৪ মে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সেতুর ২৯তম স্প্যান বসানো হয়। মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের ওপর ৪-এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়।

৩০তম: ২০২০ সালের ৩০ মে সেতুর ৩০তম স্প্যান বসে। সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর ‘৫বি’ নম্বর এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়।

৩১তম: ২০২০ সালের ১০ জুন পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যানটি বসানো হয়। সেতুর ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের জাজিরা প্রান্তে ৫-এ স্প্যান বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়।

৩২তম: ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৩২তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর ১-ডি আইডির স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

৩৩তম: ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩৩তম স্প্যান ‘ওয়ান-সি’। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার।

৩৪তম: ২৫ অক্টোবর ২০২০ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় স্প্যান ২-এ। ৩৪তম এ স্প্যান বসানোর ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ১০০ মিটার।

৩৫তম: ৩০ অক্টোবর ২০২০ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩৫তম স্প্যান ২-বি। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার।

৩৬তম: ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর ৩৬তম স্প্যান স্প্যান ১-বি এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার।

৩৭তম: ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর ৩৭তম স্প্যান। স্প্যান ২-সি এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার।

৩৮তম: ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়। মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর ১-এ নামের স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্যদিয়ে সেতুর ৫৭০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। অবশ্য খুঁটির চেয়ে ১ নম্বর পিলারের গঠন সম্পূর্ণ আলাদা। ওই খুঁটিতে ১৬টি পাইল স্থাপন করা হয়। অন্যান্য স্থাপন করা পিলারে ৬/৭টি পাইল। ১ নম্বর খুঁটির ওপর দিয়েই মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে।

৩৯তম: ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর ৩৯তম স্প্যান স্প্যান ২-ডি। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার।

৪০তম: ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর ৪০তম স্প্যান স্প্যান ২-ই। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৬ হাজার মিটার।

৪১তম: সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ২-এফ বসে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর পুরো ৬ হাজার ১৫০ মিটার।

বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন)। এরপর যান চলাচলের জন্য রোববার সকাল থেকে উন্মুক্ত করা হবে স্বপ্নের এ সেতুটি। এটি দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটবে।

দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme