1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

এক মুসলমানের প্রতি অন্যের পাঁচ অধিকার

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৪৭ বার
এক মুসলমানের প্রতি অন্যের পাঁচ অধিকার
ফাইল ফটো

ধর্ম ডেস্ক: ছোট্ট একটি হাদিসে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের দায়িত্ব তুলে ধরেছেন। তাদের একজনের প্রতি অন্য জনের রয়েছে পাঁচটি অধিকার। সেই অধিকারগুলো কী? এর শিক্ষাই বা কী?

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজ জীবনে চলতে গেলে প্রতিনিয়তই পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। মানুষের চারপাশে থাকা সমাজের এক জনের সঙ্গে অপর জনের রয়েছে ৫ টি হক বা অধিকার। পরস্পরের সঙ্গে আচার-আচরণ সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট দিকনির্দশন এভাবে ওঠে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন (এক) মুসলমানের ওপর (অপর) মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে। আর তাহলো-

১. সালাম দিলে সালামের উত্তর দেওয়া;

২. কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া;

৩. কেউ মুত্যুবরণ করলে তার জানাজার নামাজে শরিক হওয়া;

৪. কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা এবং

৫. কেউ হাঁচি দিলে তার উত্তর দেওয়া। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসের শিক্ষা

এ হাদিসে এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের প্রাপ্য পাঁচটি হকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ পাঁচটি হকই ফরজে কিফায়া পর্যায়ের। হকগুলো হলো-

০১. সালাম দেয়া সুন্নাত; উত্তর দেয়া ওয়াজিব। এটি এমন একটি সুন্নাত, যা ফরজের মতোই উত্তম। কেননা সালামের মাধ্যমে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ পায়। এর মাধ্যমে একটি ওয়াজিব আদায় করা হয়।

০২. প্রতিবেশি অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া সুন্নাত। তাঁর খোঁজ খবর নেয়া। এমনকি প্রতিবেশি যদি অমুসলিমও হয় তবুও তার খোঁজ-খবর নেয়া জরুরি।

০৩. মৃতব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহণ করা ফরজে কিফায়া। মৃতব্যক্তির জানাযা আদায় থেকে দাফন পর্যন্ত সঙ্গ দেয়া মুস্তাহাব।

০৪. দাওয়াতের দুটি অর্থ হতে পারে-

> কাউকে সাহায্য করার জন্য কেউ আহ্বান করলে, তাঁর ডাকে সাড়া দেওয়া; তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করা।

> কারো দাওয়াত কবুল করা; এ দাওয়াত কবুল করা তখনই আবশ্যক, যখন তা গ্রহণ করলে কোনো গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। এমনিভাবে মেজবানের কামাই-রোজগার যদি হালাল হয় তবে দাওয়াত গ্রহণ করা ওয়াজিব। আর কামাই-রোজগার যদি সুস্পষ্ট হারাম হওয়া প্রমাণিত হয় তবে দাওয়াত বর্জন করা ওয়াজিব।

০৫. কোনো মুসলমান হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে, তাঁর উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। হাঁচির উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ ভালো-মন্দ উভয়েই সমান। তবে নেককারদের হাঁচির জবাব হাসিমুখে দেওয়া উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁদের হকগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme