আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মানববন্ধন করা হয়েছে। উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. রশিদুল আলম (রাঙ্গা) এর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে উর্দু বিভাগের সাবেক-বর্তমান বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আহম্মেদ মুন্সী। তিনি উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে উর্দু বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল-মেরাজ শুভ বলেন, এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার। স্যারের সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমরা তার শাস্তির দাবি জানাই। স্যারের মতো মানুষ হয় না। শুধু বিভাগেই নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো মানুষ হয় না। তার সাথে এমন বেয়াদবি এবং হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উর্দু বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মোমিন খান বলেন, আমরা স্যারকে দেখেছি। এমন ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। স্যারের সাথে যে অন্যায় হয়েছে প্রশাসনের কাছে আমরা ওই শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
উর্দু বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী বোরহান খান বলেন, ছাত্র মানুষ, রানিং স্টুডেন্ট, অনার্সে পড়ে শিক্ষককে ওমন কথা বলা সভ্যতার মধ্যে পড়ে না। আমরা সাবেক স্টুডেন্ট আমরা স্যারকে দেখেছি। তিনি যথেষ্ট অমায়িক একজন মানুষ।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. রশিদুল আলম (রাঙ্গা) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাস চলাকালীন সময়ে আহম্মেদ মুন্সী নামের ওই শিক্ষার্থী তার সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে দরজায় লাথি মেরে বের হয়ে যায়। পরে তিনি ক্লাস শেষ করে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমানের সঙ্গে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৪র্থ তলা থেকে নিচে নামার সময়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন ‘দলবাজি করেন, না? আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে যাক, দেখা হবে। জীবন নিয়ে পালানোর সময় পাবেন না।’ এমন কথা বলতে বলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পালিয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নগরের মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে। তার জিডি নং ৭৩১।
Leave a Reply