প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবশেষে অভিমান ভাঙল তামিম ইকবালের। টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিসিবি সভাপতি না পারলেও গণভবনে ঘণ্টা দুয়েকের আনুষ্ঠানিকতা অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য করল দেশসেরা ওপেনারকে।
তামিমের ২৪ ঘণ্টার অবসরে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। এই ক্রিকেটারের কান্না, সমর্থকদের ভেঙে পড়া কিংবা রাত ১২টা পর্যন্ত চলা বিসিবির বোর্ডসভা–সব মিলিয়ে একটা ব্যস্তমুখর দিন টাইগার ক্রিকেটে। তবে দিনশেষে স্বস্তি একটাই, অবসর ভেঙে ফিরেছেন তামিম।
অবসর ভাঙা ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিমের বড় অনুপ্রেরণার নাম হতে পারেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ আসর বসেছিল ভারত-পাকিস্তানে। যেখানে সেমিফাইনালে বিদায়ঘণ্টা বাজে ম্যান ইন গ্রিনদের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই হারের দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সরে দাঁড়ান ইমরান।
ইমরানের সে অবসর সিদ্ধান্ত মেনে নেননি তার ভক্তরা। আন্দোলন-মানববন্ধন থেকে শুরু করে অনশনের কথাও শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ইমরানকে ক্রিকেটে ফেরানোর দায়িত্ব নেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া উল হক। নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ক্রিকেটে ফিরে পরের বিশ্বকাপেই দেশকে শিরোপা জেতান ইমরান খান।
কেবল ক্রিকেট নয়, তামিম নিজের অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারেন ফুটবল মাঠেও। তর্কসাপেক্ষে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি ২০১৫ কোপা আমেরিকার পরে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। এরপর ২০১৮ বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও ২০২২-এ এসে আক্ষেপ ঘোচান আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপার। সে টুর্নামেন্টে সেরা ফুটবলারের পালকটাও ওঠে তারই মুকুটে।
কেবল ইমরান কিংবা মেসি নন, অবসর ভেঙে খেলায় ফেরার উদাহরণ রয়েছে অজস্র। যেখানে নাম রয়েছে শহিদ আফ্রিদি, কেভিন পিটারসেন বা জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। তবে প্রশ্ন হচ্ছে: অবসর ইস্যুতে এতকিছুর পর নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা রাঙাতে পারবেন তো তামিম ইকবাল?
Leave a Reply