1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

বৈঠকে সমাধানসূত্র অমিল, অরুণাচল নিয়ে অনড় ভারত

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ১২ বার
বৈঠকে সমাধানসূত্র অমিল, অরুণাচল নিয়ে অনড় ভারত
বৈঠকে সমাধানসূত্র অমিল, অরুণাচল নিয়ে অনড় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের উপর কার অধিকার?— ভারত ও চিনের মধ্যে এই টানাপড়েন বহু দিনের। তার মধ্যেই গত ২৭ মার্চ, বুধবার বেজিংয়ে বিশেষ বৈঠকে শামিল হয়েছিল দুই দেশ।

সংঘাত মিটবে কি? বুধবার দুই দেশের বৈঠক মিটতেই বৃহস্পতিবার থেকে চিনের সঙ্গে নরম-গরম বাদানুবাদ শুরু হয়ে গেল দিল্লির। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, অরুণাচল নিয়ে চিনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যত বারই চিন দাবি করুক, ভারত নিজের অবস্থানে অনড়।

অরুণাচল প্রদেশের উপর কার অধিকার?— ভারত ও চিনের মধ্যে এই টানাপড়েন বহু দিনের। তার মধ্যেই গত ২৭ মার্চ, বুধবার বেজিংয়ে বিশেষ বৈঠকে শামিল হয়েছিল দুই দেশ। ‘ওয়ার্কিং মেকানিজ়ম অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স’ শীর্ষক ২৯তম এই বৈঠকে লাদাখ নিকটবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কী ভাবে সংঘাত মেটানো যায়, তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। তবে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। উল্টে, অরুণাচল নিয়ে ভারত যে নিজের অবস্থানে অনড়, বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি, পন্নুন সংক্রান্ত সমস্যায় আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে চিন যেন নাক না গলায়, সেই কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “অরুণাচল সম্পর্কে আমাদের অবস্থান বার বার স্পষ্ট করা হয়েছে। চিন যত বার ইচ্ছে তাদের ভিত্তিহীন মন্তব্য করতে পারে, অরুণাচল ভারতের ছিল, তাই থাকবে।” প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই পন্নুনের কারণে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে ভাটা পড়বে— কটাক্ষ করেছিল চিন। এ দিন, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে রণধীর স্পষ্ট জানান, “ভারত ও আমেরিকা নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে। তৃতীয় ব্যক্তির মন্তব্য এখানে অবান্তর।”

বুধবারের বৈঠক নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি, লাদাখের নিকটবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যাগুলির সমাধান করতে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, শান্তি বজায় রাখার পক্ষে মত দিয়েছে দুই দেশই। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কূটনৈতিক ও সামরিক পথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে।

বৈঠকে মিটমাটের কথা বলা হলেও দীর্ঘস্থায়ী এই সংঘাত আদৌ মিটবে কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কূটনীতিকরা। ২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষ, ২০২২ সালে তাওয়াংয়ের কাছে প্রকৃত সীমান্ত রেখার কাছে ফের ভারত ও চিনের সংঘাত এটাই ইঙ্গিত করে, টানাপড়েন দ্রুত মেটার নয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme