1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :
শিরোনাম :
সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে রাজশাহী নগরীতে শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী গ্রেফতার রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৯ ইসলামে জুমার খতিব হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব গুণাবলি জরুরি মায়ানমার থেকে মণিপুরে জঙ্গি প্রবেশের প্রতিবেদন প্রত্যাহার তাইওয়ান প্রণালিতে প্রথমবার যুদ্ধজাহাজ পাঠাল জাপান ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে বিপজ্জনক হারিকেন হেলেন গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াত আমির ১২০০ টাকা মূল্যে বেনাপোল ও আখাউড়া দিয়ে ভারতে গেল ২৫ টন ইলিশ প্রি-পেইড মিটারের বাড়তি বিদ্যুৎ বিলে নাভিশ্বাস গ্রাহকের
শিরোনাম :
সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে রাজশাহী নগরীতে শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী গ্রেফতার রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৯ ইসলামে জুমার খতিব হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব গুণাবলি জরুরি মায়ানমার থেকে মণিপুরে জঙ্গি প্রবেশের প্রতিবেদন প্রত্যাহার তাইওয়ান প্রণালিতে প্রথমবার যুদ্ধজাহাজ পাঠাল জাপান ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে বিপজ্জনক হারিকেন হেলেন গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াত আমির ১২০০ টাকা মূল্যে বেনাপোল ও আখাউড়া দিয়ে ভারতে গেল ২৫ টন ইলিশ প্রি-পেইড মিটারের বাড়তি বিদ্যুৎ বিলে নাভিশ্বাস গ্রাহকের

ইসলামে জুমার খতিব হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব গুণাবলি জরুরি

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২ বার
ইসলামে জুমার খতিব হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব গুণাবলি জরুরি
ইসলামে জুমার খতিব হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব গুণাবলি জরুরি

 ধর্ম ডেস্ক : মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে ইমাম ও খতিবের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। তাঁরা একই সঙ্গে মুসলিম সমাজের মুখপাত্র ও ধর্মীয় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন। এ জন্য ইসলাম খতিব নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করেছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।

১. নিষ্ঠাবান হওয়া

মসজিদের খতিব মুখলিস বা নিষ্ঠাবান হবেন। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য খতিব পদ গ্রহণ করবেন এবং মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণে কাজ করবেন। পার্থিব মোহ ও স্বার্থ ত্যাগ করবেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং নামাজ কায়েম করতে ও জাকাত দিতে, এটাই সঠিক দ্বিন।

’ (সুরা : বাইয়িনাহ, আয়াত : ৫)
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালি (রহ.) লেখেন, ‘তুমি দেখবে কতিপয় বক্তা যেন মানুষকে ওয়াজ করে এবং শাসকদের উপদেশ দিয়ে আল্লাহর প্রতি অনুগ্রহ করে। মানুষ তাদের কথা গ্রহণ করলে এবং তারা প্রভাবিত হলে তারা খুশি হয়। তারা দাবি করে দ্বিনি কাজ করতে পেরে তারা আনন্দিত। অথচ তার যদি এমন কোনো সমকক্ষ প্রকাশ পায় যে তার চেয়ে ভালো ওয়াজ করে; ফলে মানুষ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তাদের খারাপ লাগে এবং তারা চিন্তিত হয়।

’ (ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ৩/৪৬৮)

২. তিলাওয়াতে পারদর্শী হওয়া

কোরআন তিলাওয়াতে পারদর্শী হওয়া ইমাম ও খতিবের জন্য অপরিহার্য, এর সর্বনিম্ন স্তর হলো তিলাওয়াত শুদ্ধ হওয়া। উত্তম হলো কিরাতশাস্ত্রের নিয়ম-নীতিগুলো ও কোরআনের অর্থ ও মর্ম সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং কোরআন সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞানে দখল থাকা। সুন্দর কণ্ঠস্বর খতিবের গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘স‍‌র্বাপেক্ষা বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারী ও কোরআনি জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি জাতির ইমামতি করবে। সবাই যদি কোরআনের জ্ঞানে সমপর্যায়ের হয় সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সুন্নত সম্পর্কে অধিক অবগত হবে সে-ই ইমামতি করবে।

সুন্নাহর জ্ঞানেও সবাই সমান হলে হিজরতে অগ্রগামী ব্যক্তি ইমামতি করবে। কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির নিজস্ব প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামতি করবে না কিংবা তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়িতে তার বিছানায় বসবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪১৮)

৩. হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য থাকা

কোরআনের মতো হাদিসশাস্ত্রেও পাণ্ডিত্য থাকবে খতিবের, বিশেষত হাদিসের বিশুদ্ধতা নিরূপণের যোগ্যতা থাকতে হবে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘স‍‌র্বাপেক্ষা বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারী ও কোরআনি জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি জাতির ইমামতি করবে। সবাই যদি কোরআনের জ্ঞানে সমপর্যায়ের হয় সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সুন্নত সম্পর্কে অধিক অবগত হবে সে-ই ইমামতি করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪১৮)

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, ইমাম ও খতিব হিসেবে অগ্রাধিকার পাওয়ার একটি মাপকাঠি হাদিসশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য থাকা।

৪. বিধি-বিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া

একজন খতিব অবশ্যই শরিয়তের বিধি-বিধান সম্পর্কে অবগত থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাতির ইমামতি করবে যার কোরআন তিলাওয়াত সবচেয়ে ভালো। যদি তিলাওয়াতে সবাই সমান হয়, তবে দ্বিনের গভীর জ্ঞান রাখে (ফকিহ) এমন ব্যক্তি ইমামতি করবে। যদি ফিকহের জ্ঞানে সবাই সমান হয়, তবে বয়সে বড় ব্যক্তি ইমামতি করবে।’ (আল বাজ্জার, হাদিস : ৮৮৪৭)

৫. ভাষাগত দক্ষতা থাকা

একজন খতিবের জন্য আরবি ও মাতৃভাষায় দক্ষ হওয়া আবশ্যক। আরবি ভাষায় দক্ষ হতে হবে যেন তিনি কোরআন-হাদিসের জ্ঞান সঠিকভাবে আহরণ করতে পারেন। আর মাতৃভাষায় দক্ষ হবেন যেন ইসলামের কথা বোধগম্য ভাষায় মানুষকে বোঝাতে পারেন। আদি ইবনু হাতিম (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর সামনে ভাষণ দিল। সে বলল, যে বক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে সে সঠিক পথ পেল। আর যে ব্যক্তি তাঁদের অবাধ্যচরণ করল, সে পথভ্রষ্ট হলো। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি নিকৃষ্ট বক্তা, তুমি এভাবে বলো, যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা করল ও রাসুলের অবাধ্যতা করল।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৯৫)

অর্থাৎ বক্তা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-কে বোঝাতে একটি সর্বনাম ব্যবহার করেছিল, যা সমতার প্রতি ইঙ্গিত করে এবং এটা বক্তার ভাষাগত অদক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত করে। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ভর্ত্সনা করেছিলেন।

৬. সময় ও সমাজের ব্যাপারে সচেতন হওয়া

একজন খতিবের জন্য সমাজ ও সমাজের মানুষ সম্পর্কে সচেতন হওয়া আবশ্যক। যেন মানুষের দ্বিনি প্রয়োজন সামনে রেখে তিনি আলোচনা করতে পারেন। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘খুতবা মানুষ দ্বিন শেখানের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং একজন সফল খতিব মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ দ্বিনি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সমাজ ও মানুষ যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হয় সেগুলোর ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য তুলে ধরা। একজন সফল খতিব মানুষের দ্বিনি প্রয়োজনগুলো বুঝবেন এবং তা পূরণের চেষ্টা করবেন। তিনি মিম্বারে বিরোধপূর্ণ মাসআলা নিয়ে আলোচনা করবেন। কেননা এগুলো ফিকহি দরসের (আইনবিষয়ক পাঠ) বিষয়।’ (আল মাজমু : ৪/৫২১)

৭. শ্রোতা ও মুসল্লিদের প্রতি সচেতন

একজন সফল খতিব অবশ্যই তাঁর মুসল্লি ও শ্রোতাদের সার্বিক অবস্থার ব্যাপারে সচেতন হবেন। যেন তিনি স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে কথা বলতে পারেন এবং নিজের অজান্তে মানুষের বিরক্তির কারণ না হন। আবু ওয়াইল (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) প্রতি বৃহস্পতিবার লোকদের উপদেশ দিতেন। তাঁকে একজন বলল, হে আবু আবদুর রহমান! আমার ইচ্ছা জাগে আপনি প্রতিদিন আমাদের নসিহত করেন। তিনি বললেন, এ কাজ থেকে আমাকে যা বাধা দেয় তা হচ্ছে আমি তোমাদের ক্লান্ত করতে পছন্দ করি না। আর আমি নসিহত করার ব্যাপারে তোমাদের (অবস্থার) প্রতি খেয়াল রাখি, নবী (সা.) ক্লান্তির আশঙ্কায় আমাদের প্রতি যেমন লক্ষ রাখতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭০)

ইমাম নববী (রহ.) বলেন, মুসল্লিদের প্রতি লক্ষ রাখার দুটি দিক : ১. শ্রোতারা স্বাচ্ছন্দ্য ও আগ্রহ বোধ করে এমন বিষয়ে আলোচনা করা, ২. স্থানের সংকীর্ণতা, শীত ও গরমের আধিক্য তাদের কষ্ট দিচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখা। (শরহুন নববী : ৯/২০৭)

৮. খুতবা ও নামাজে ভারসাম্য রক্ষা

একজন আদর্শ খতিব আলোচনা ও নামাজের সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবেন। তিনি খুতবাকে এত দীর্ঘায়িত করবেন না, যাতে নামাজে তাড়াহুড়া করতে হয়, বরং প্রয়োজনে তিনি আলোচনা সংক্ষিপ্ত করবেন, যেন নামাজ ধীরস্থিরভাবে পড়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির দীর্ঘ নামাজ ও সংক্ষিপ্ত ভাষণ তার প্রজ্ঞার পরিচায়ক। অতএব, তোমরা নামাজকে দীর্ঘ এবং ভাষণকে সংক্ষিপ্ত করো। অবশ্যই কোনো কোনো ভাষণে জাদুকরী প্রভাব থাকে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৯৪)

৯. ব্যক্তিগত জীবনে রুচিশীল হওয়া

একজন খতিব, যিনি সমাজে ইসলাম ও মুসলমানের প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনি অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনে রুচিশীল হবেন। তিনি নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন, পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল পোশাক পরবেন, সুগন্ধি ব্যবহার করবেন। পুরুষের জন্য ইসলাম যতটুকু সাজসজ্জার অবকাশ রেখেছে তা গ্রহণ করবেন। যেমন—সুরমা ব্যবহার করা, চুল পরিপাটি করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি। খতিবের ব্যক্তিত্ব ও রুচি উন্নত হলে মানুষ পেছনে নামাজ পড়তে আগ্রহী হবে। (উমদাতুল কারি : ৮/৩৩৫)

১০. বয়সে পরিণত হওয়া

মসজিদের ইমাম ও খতিব মধ্য বয়সী হওয়া উত্তম। অন্তত এতটুকু বয়স হওয়া আবশ্যক, যখন মানুষের চিন্তা, কথা, কাজ ও জীবনাচরণে ভারসাম্য আসে। এজন্য নবীজি (সা.) বয়সে বড় ব্যক্তিকে ইমামতির জন্য অধিক উপযুক্ত বলেছেন। তিনি বলেন, ‘… যদি হিজরতের বিবেচনায় সবাই সমান হয় তবে তাদের মধ্যে বয়সে বড় ব্যক্তি ইমামতি করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)

আল্লাহ সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বিনি কাজ করার তাওফিক দিন। আমিন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme