অনলাইন ডেস্ক : বেল কাঁচা পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। বেলের শরবত খুবই সুস্বাদু এবং উপকারী। আর বেল কাচা অবস্থায় ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে উপকারী। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো মূল্যবান পুষ্টি উপাদান ছাড়াও বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-এ। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বেলের শরবতের জুড়ি নেই! বেলের শরবত পান যেমন উপকারী অপরদিকে মেটাবে তৃষ্ণা!
প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে আপনি পাবেন- খাদ্যশস্য- ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ- ৭৭.৫ গ্রাম, শর্করা- ১৮.৮ গ্রাম, আমিষ- ২.৬ গ্রাম, চর্বি- ০.২ গ্রাম,
ক্যালসিয়াম- ৩৮ মি.গ্রাম, লৌহ- ০.৬ মি. গ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.৩ মি.গ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.০২ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ৯ মি.গ্রাম
বেলের কিছু উপকারিতা জেনে নিন: জন্ডিসের সময় পাকা বেল গোলমরিচের সঙ্গে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
যারা পাইলস সমস্যায় ভোগছেন তাদের জন্য নিয়মিত বেল খাওয়ার পরামর্শ। নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
দীর্ঘদিন ধরে যারা ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে আক্রান্ত, নিয়মিত বেল খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। সর্দি ও জ্বর-জ্বর ভাব উপশমে এক চামচ বেলপাতার রস খেয়ে নিন। বেল পাতার রস সামন্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়।
কচি বেল টুকরো করে রোদে শুকিয়ে নিয়ে বেল শুট তৈরি করা হয়। আলসার সমস্যায় এ বেল শুট সামন্য বার্লির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে নিয়মিত খেলে আলসার সমস্যা দূর করে। বেলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ যা চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ গুলোতে পুষ্টি যোগান দেয় ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply