অনলাইন ডেস্ক : ভোলার মনপুরার মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্বিচারে মা-ইলিশ নিধন করছে অসাধু জেলেরা। আর সেই মা-ইলিশ আবার হোম ডেলিভারির মাধ্যমে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে অসাধু একটি জেলে চক্র। এতে নিষেধাজ্ঞার সময় মা-ইলিশ নিধন করায় প্রকৃত ইলিশ জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত চার দিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনটি দলে ভাগ হয়ে মেঘনায় মা-ইলিশ শিকার করছে প্রভাবশালী জেলেরা। একদল নদীর পাড়ে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের দিকে নজর রাখে। অন্য দল জাল ও নৌকা নিয়ে মেঘনায় নির্বিঘ্নে মা-ইলিশ শিকার করে। শেষ দলের কাজ হলো জেলেদের ধরা মা-ইলিশ হোন্ডাযোগে বা রিকশাযোগে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে সোমবার সকালে মৎস্যজীবী নেতা জাহাঙ্গীর মাঝি ও সাইফুল মাঝির নেতৃত্বে একদল মাঝি মনপুরা প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একদল প্রভাবশালী আড়তদার মাছ বিক্রি করছে। অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা-ইলিশ শিকার করছে প্রতিনিয়ত। এই সময় জেলেরা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোম ডেলিভারি দেওয়া এক সদস্য সূত্রে জানা যায়, তাদের দায়িত্ব নদীর পাড় থেকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ নিয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। তবে তার আগে গ্রাহকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মাছের দাম নির্ধারণ করা হয়। কত হালি ইলিশ লাগবে তা জানতে চাওয়া হয়। পরে ভোররাতে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ পৌঁছে দেওয়া হয়।
এখন ইলিশের দাম কত এমন প্রশ্নে ঐ ডেলিভারি সদস্য জানান, প্রতি হালি ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজি দুইশত গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের। তবে প্রত্যেকেটি ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবদুল গাফফার জানান, মেঘনায় অভিযান চলছে। তবে অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অভিযান চালানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মমর্তা মো. শামীম মিঞা জানান, মনপুরার চারপাশে মেঘনা। তাই মেঘনায় অভিযান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে তিনটি টিম অভিযান করছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply