অনলাইন ডেস্ক : ভোলার ভেলুমিয়ায় ঈদের দিন রাতে নিজগৃহে জয়তুন বিবি (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কাবিল (৬৫), হাবিলের ছেলে সোহেল (৩০), সোহেলের স্ত্রী নাজমা (২৬) এবং ভাড়াটিয়া দুই খুনি মান্নান (৩২) এবং তার সহযোগী রবিউল (৩০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আসামিদের দেয়া তথ্য মতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে। আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় টাকা পয়সা এবং স্বর্ণালঙ্কারের লোভে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, ঈদুল আযহার দিন রাতে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধা জয়তুন বিবিকে তার নিজ ঘরে হত্যা করা হয়। পরদিন ১১ জুলাই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃদ্ধার টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের জন্যই ঘটনার ১৫ দিন আগে হত্যার পরিকল্পনা করেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কাবিল মেম্বার।
‘পরিকল্পনা অনুযায়ী কাবিল মেম্বার তার ছেলে সোহেল ও ছেলের স্ত্রী নাজমা বেগমকে ১৫ দিন আগে ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে পাঠান। ঘটনার দিন ভাড়াটিয়া মান্নান ও রবিউলকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জয়তুন বিবিকে ওড়না দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করা হয়। পরে ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সোহেল ও তার স্ত্রী নাজমাকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কাবিল মেম্বার, ভাড়াটিয়া খুনি মান্নান ও রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। এদের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও নগদ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কাবিল মেম্বারের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply