1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?

জন্ম নিলেই করতে হবে গরু-মহিষের নিবন্ধন ক্রয়-বিক্রয়েও প্রয়োজন ছাড়পত্রের

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৫৮ বার

অনলাইন ডেস্ক : সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় অথবা জন্ম নিলেই করতে হবে গরু-মহিষের নিবন্ধন। তবে এ প্রক্রিয়া মানুষের জন্মনিবন্ধনের মতো নয়। এই নিবন্ধন করতে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট থেকে। এমনকি নিজের কাছেও রাখতে হয় নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি রেজিস্টার খাতা।

বিজিবি সূত্র জানায়, এই রেজিস্টার খাতায় নিবন্ধনের নিয়মটি অনেক পুরনো একটি বিষয়। মূলত সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু-মহিষের অবৈধ চোরাচালান রোধে রেজিস্টার খাতায় নিবন্ধন করতে হয়। যা বাধ্যতামূলক। এতে একটি সীমান্তবর্তী এলাকা বা ইউনিয়নের ভেতর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গরু-মহিষের হিসেব রাখা যায়। এ ব্যবস্থা গ্রহণের কারণেই ভারতীয় চোরাচালান রোধ সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি বিজিবি কর্তৃপক্ষের।

গরু-মহিষের এই নিবন্ধনের বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী ইউনিয়নের চর আষাড়িয়াদহ। ইউনিয়ন সূত্র বলছে, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হোল্ডিং অর্থাৎ বাড়ি। প্রতিটি বাড়িতেই নি¤েœ দুটি ও গড়ে ৫ থেকে ৭টি করে গরু রয়েছে। সে হিসেবে আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নেই প্রায় ২২ থেকে ২৩ হাজার গরু-মহিষ রয়েছে। প্রত্যেকটি গরু ও মহিষের হিসেব রয়েছে আষাড়িয়াদহ বিজিবির দুটি ক্যাম্পে। একটি ডিএমসি বিওপি ক্যাম্প ও অপরটি সাহেব নগর বিওপি ক্যাম্প।

উত্তরা প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সাহেব নগর বিওপি ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্বাস উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু-মহিষের চোরাচালান হয় অনেক। একারণে গরু-মহিষের সঠিক হিসেবে রাখার জন্য রেজিস্টার খাতায় পুরো ইউনিয়নের সংখ্যাটি সংরক্ষণ করা হয়। একটি আমাদের ক্যাম্পে থাকে, আরেকটি থাকে ইউনিয়ন পরিষদে ও আরও একটি খাতা থাকে পশু মালিকের কাছে। কেউ গরু-মহিষ ক্রয় অথবা বিক্রয় করলে এই হিসেব রাখা হয়। এমনকি কারো বাসায় নতুন কোন গরুর জন্ম নিলেও সেটি বিজিবি ক্যাম্প ও ইউনিয়ন পরিষদের রেজিষ্টার খাতায় সংযোজন করতে হয়।

তিনি বলেন, কেউ বাইরের গরু-মহিষ কিনে আনলে সেটিও বিজিবি এবং ইউনিয়ন পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করা লাগবে। আবার কেউ তার গরু বিক্রি করতে চাইলে সেটিও জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেটি আমাদের কাছে নিয়ে আসলে আমরা ওই ছাড়পত্রের প্রেক্ষিতে গরু-মহিষের সংখ্যাটি বাদ দিয়ে দেয়। কেনার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা।

উপজলেরা চরমাঝারদিয়াড় এলাকার বাসিন্দা মো. রুবেল। তার নিজের একটি গরু সহ পরিবারের মোট সাতটি গরু। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে গরু পালতে হলে বিজিবির কাছে নিবন্ধন বা রেজিস্টারে তোলা লাগে। রেজিস্টারে তোলার জন্য কোনো টাকা লাগে না। নিবন্ধন না করলে সেটি অবৈধ গরু হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বাছুর জন্ম নিলে সেটিকে আমরা জন্মনিবন্ধন করিয়ে নেয়।’

একই এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী হামিদা বেগম। তিনি পালছেন একটি গুরু। তার গরুর বাচ্চা হবে আর কিছুদিন পর। সেটিও তালিকাভুক্তির মধ্যে আনতে হবে বিজিবি ক্যাম্প। তুলতে হবে ইউনিয়ন পরিষেদের খাতায়। একই নিজের খাতাতেও।

গৃহিনী হামিদা জানান, ‘আমার বাড়িতে এখন একটাই গরু। দুদিন পর বাচ্চা হলে সেই বাচ্চাটিকে ক্যাম্পে ১০ দিনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সেখানে তারা গরুটি দেখতে কেমন তার একটি বর্ণনা লিখে নিবেন। লিখে নেওয়ার পর আর কোন সমস্যা নাই। কিন্তু গরু বিক্রি করতে গেলে আবার একদিন আগে ক্যাম্পে গরুসহ গিয়ে সেটির ছাড়পত্র নিতে হয়।’

একই এলাকার বিউটি বেগমের রয়েছে ৭টি গরু ও ৪টি খাসি। তিনি বলেন, গরুর রেজিস্টার বা নিবন্ধন করতে হয় কিন্তু ছাগলের নিবন্ধন করা লাগে না।’

গরু-মহিষের নিবন্ধন কেন করতে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাশেই ভারতের বর্ডার। আগে বর্ডার থেকে ভিনদেশী ও এলাকার মানুষেরা গরু নিয়ে এসে দেশি গরুর মধ্যে বেধে রাখতো। এতে বোঝা যেতো না কোনটা দেশি আর কোনটা ভারতীয়। কিন্তু এখন ভারত থেকে গরু আনার পর বাধলেও তা ধরা পড়ে। তাই এই খাতায় তোলা সিস্টেম চালু হয়েছে।

বিউটি বেগমের ভাষ্য, বিজিবির এই হিসেব রাখার প্রথাটি আগে থেকে চালু থাকলেও গত দুই-তিন বছর থেকে অনেক কড়াকড়ি ব্যবস্থা চালু করেছে বিজিবি। তিনি বলেন, বেচলেও খাতায় তুলতে হবে কিনলেও তুলতে হবে আবার জন্ম নিলেও তুলতে হবে। এই ব্যবস্থায় আমাদের বেশ সুবিধায় হয়েছে। এতে গরু-মহিষ হারানোর কোন ভয় নাই।

গোদাগাড়ী উপজেলার আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই এই নিয়ম চলছে। তবে ২০১৭-১৮ সাল থেকে এ ব্যাপারে থেকে বেশ কড়াভাবে দেখছে বিজিবি। আমরা ছাড়পত্র দিলেও মোট হিসেব আমাদের কাছে নেই। বিজিবির কাছে পুরো ইউনিয়নের হিসাব আছে। তারা জানে কোন বাড়িতে কয়টা গরু আছে।

ছাত্রপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ের ছাড়পত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দিলেও তাতে বিজিবির রেজিস্টার খাতায় তোলা লাগে। যে ছাড়পত্র প্রদান করা হয় তাতে চেয়ারম্যান, একজন মেম্বার ও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের সই লাগে। তারপর কেউ সেই পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। এক্ষেত্রে পশুর মালিককে ক্যাম্পে তার গরু-মহিষ টেনে নিয়ে আসা লাগে।

এই গ্রামের অনেকেই শুধু গরু লালন-পালন করেই সংসার চালান। কারো কারো একসাথে ৪০-৫০ টা গরু আছে। একসাথে এতোগুলো গরুকে খাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই তারা গোদাগাড়ীর আলতলী ইউনিয়েনের বিশাল মাঠে গরু নিয়ে যান খাওয়াতে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গরু চড়িয়ে সন্ধে বেলা তারা নিজের বাথানে নিয়ে আসেন। সেই গরুর বাথান বা গোয়ালঘর কোথায় সেটিও বলা লাগে তাদের। হিসেব রাখার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাটি ভালো হলেও সাধারণ মানুষের কাছে এটি বেশ ঝামেলা কাজ। গরু-মহিষ নিয়ে এখানে-ওখানে যাওয়ার কারণে অনেকেই এটি পচ্ছন্দ করেন না বলে জানান চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ।

এবিষয়ে রাজশাহীর বিজিবি অধিনায়ক সাব্বির আহম্মেদ উত্তরা প্রতিবেদককে বলেন, গরু-মহিষের কোন জন্মনিবন্ধন হয় না, তবে সীমান্তবর্তী বিওপি ক্যাম্পগুলোতে একটি রেজিস্টার খাতা মেনটেইন করা হয়। এক্ষেত্রে এটি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ক্যাম্প কমান্ডারদের সমন্বয়ে হয়ে থাকে। মূলত চর এলাকায় কী পরিমাণ গরু আছে, সেটির একটি হিসেব বিজিবির থাকে। তা নাহলে সীমান্তে গরু চোরাচালান রোধ সম্ভব নয়। যে কেউ ওপার থেকে গরু এনে বলে দেবে যে, ওই গরুগুলো তার।

তিনি বলেন, সাধারণত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেই অবৈধভাবে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢোকে। এই সিস্টেমের কারণে গরু-মহিষের চোরাচালান রোধ হয়েছে। এমনকি আমরা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পশুর সঠিক হিসেবও রাখতে সক্ষম হচ্ছি। মূলত চোরাচালান রোধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme