অনলাইন ডেস্ক : চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্হা এখন আর এফডিসি কেন্দ্রিক আলোচনার ওপর নির্ভর করে না। অন্যদিকে নানা তর্ক আর খবরের পাল্টা খবরের জন্য এফডিসির একাধিক সমিতির কার্যক্রম মুখর হয়ে আছে।
সর্বশেষ শিল্পী সমিতি নিয়ে যে অবস্হা দাঁড়িয়েছে তাতে সকলেই বিব্রত। মাত্র দু’দিন আগে ইলিয়াস কাঞ্চন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানকে শপথ পড়ালেন। তারও কিছুদিন আগে নিপুনকে শপথ পড়ান। আইনি আদেশ মেনেই দু’জনকে শপথ পড়াতে হয় তাকে।
এমন পরিস্হিতে ইলিয়াস কাঞ্চন এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়েই বলেছিলেন, ‘আমি হয়তো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’ অতঃপর আবারও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে স্হগিতাদেশ দিলে তা প্রচারের পর জায়েদ খান বলেন , ‘না আমার দায়িত্ব পালনে বাঁধা নেই।’ এদিকে নিপুন কথা বলতে চাইছেন না এখনই। বলেছেন, আইনের পথেই হাঁটছেন তিনি।
কিন্তু সভাপতি হিসেবে এক দুঃখের কথা জানালেন ইলিয়াস কাঞ্চন। বললেন, ‘এক পক্ষ জিতলে আরেক পক্ষের কেউ আসে না। এ পর্যায়ে আমাদের তো কাজ করতে হবে। এক সাধারণ সম্পাদক পোস্টের জন্য তো আর একটা সমিতি স্হবির হতে পারে না। আর আমার তো আরো কাজ আছে। আমি তো আরো একটি বড় সংগঠন চালাই। নিজের অন্যান্য ব্যস্ততা রয়েছে। এখন তাদের বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত নির্ধারণ করবেন। আমরা আমাদের কাজ করবো।’
এই অস্বস্তিকর পরিস্হিতিতে ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ বিব্রতবোধ করছেন তিনি। বললেন, ‘আমি বিরক্ত ও বিব্রত। তবে ওইদিন হয়তো কথার কথা পদত্যাগ করার বিষয় বলেছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব যখন নিয়েছি, আমি পালন করতে চাই। বাকি সকলের সহযোগিতা এখানে সবচেয়ে জরুরি। কারণ একটি সংগঠন কখনো একটি পদের জন্য হতে পারে না। সবার অংশগ্রহণে একটি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply