অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজারে গণপরিবহনে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধানসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির ১০ হাজার ২০০ টাকাও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার লিংকরোড এলাকায় পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজিকালে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-১৫’র সদস্যরা।
তারা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার (৪নং ওয়ার্ড) মৃত আফতাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে তাহের আহমেদ সিকদার (৫০), মুহুরীপাড়া বেসিক এলাকার আবু বক্করের ছেলে ওয়াবায়দুল করিম (৪০), টেকনাফের হোয়াইক্যং, বিজিবি চেক পোস্ট এলাকার মৃত ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), রামুর ফতেকারকুল হাই টুপিগ্রামের নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়া (৪২) ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বড়মা ইউনিয়নের চরবড়মা এলাকার মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে বর্তমানে উখিয়ার হলদিয়াপালং মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা শাহ জাহান (৪৮)।
র্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার জানান, আটকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আগত যানবাহনের চালক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছেন। এছাড়াও তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা না দিলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি তিয়ে আসছে। এভাবে তারা জেলা পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছিলেন। তাদের শেল্টার দিতো চক্রটির গডফাদার হিসেবে পরিচিত তাহের আহমেদ সিকদার। তাই নিরুপায় হয়ে চালক-শ্রমিক ও কাউন্টার ইনচার্জরা তাদের চাহিদামতো টাকা দিয়ে দিতেন। এমন অভিযোগ পেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার টাকা আদায় করতে র্যাব-১৫’র একটি চৌকস টিম হাতে নাতে তাদের ধরে ফেলে। এসময় টাকা আদায়ের অবৈধ স্লিপ, নগদ ১০ হাজার ২০০ টাকাও জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে আগেই কক্সবাজার শ্যামলী পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১৫, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি চাঁদাবাজ চক্রটির প্রধান তাহের আহমেদ সিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ নানা অপরাধে বিভিন্ন থানায় ছয় মামলা চলমান বলে তথ্য পেয়েছি।
Leave a Reply