অনলাইন ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সাময়িক। তবে কবে থেকে চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সেতু কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি।
এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে এখনো ৬টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন যানবাহন পরিবহনে চাহিদা অনুসারে এসব ফেরি চলাচল করবে। পদ্মা নদী পারাপারে ফেরিগুলো পরিচালনায় শিগগিরই একটি পরিকল্পনা নেয়া হবে।
পদ্মা সেতু হলেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে লঞ্চ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। লঞ্চ মালিকরা আরও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে লঞ্চ পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবারও (২৮ জুন) সকাল থেকে পিকআপে চড়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছে মোটরসাইকেল। চলছে রমরমা ব্যবসাও। বাইকারদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এদিকে স্বপ্নের সেতুতে স্বস্তির যাত্রায় উচ্ছ্বসিত বড় গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও সেটি পারাপার হচ্ছে এখন পিকআপ ও ট্রাকে করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তৃতীয় দিনের (২৮ জুন) মত স্বপ্নের সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে স্বাছন্দ্যে। সেতু ঘিরে চারদিকে মানুষের উচ্ছ্বাস এখনো দেখা গেছে। সেতুর দুই পাড়ে এখন বাইক পারাপারে চলছে জমজমাট ব্যবসা। সোমবার (২৭ জুন) ফেরিতে বাইকাররা পার হলেও নাব্য সংকটে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ সুযোগে পিকআপে অতিরিক্ত ভাড়ায় সেতু দিয়ে বাইক পার করছেন বাইকাররা। তারা বলেন, এত বড় পদ্মা সেতু এত খুশি হয়ে এসেও যেতে পারছি না। চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। ফেরি যাচ্ছে না। এখন আমরা গাড়ির ওপরে করে গাড়ি পারাপার করছি। কিছুই করার নেই।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply